পল্লব হাজরা,বেলঘরিয়া: আষাঢ় মাসে রৌদ্র মেঘের লুকোচুরিতে কখনও বৃষ্টি কখনও বা ঝলমলিয়ে দেখা মিলছে সূর্যের। এরই মাঝে দুর্গাপূজার প্রস্তুতিতে নেমে পরেছেন বেশির ভাগ পুজো কমিটি গুলো। পিছিয়ে নেই বেলঘরিয়া মানস বাগ সার্বজনীন। প্রতি বছর নিত্য নতুন চমক আনে এই ক্লাবের উদ্যোক্তারা।
“কলিকালের অসুর রো রাসুর হবে খান খান, ত্রিশূল বধিবে ঘৃণ্য বাক্যবাণ।” এইবছর রো রা সুর বধ করে রবিবার খুঁটিপুজোর মধ্যে দিয়ে ৭৫ বছরের পুজো শুরু করল মানস বাগ সার্বজনীন। ঢাকে কাঠি পরল উত্তর শহরতলির অন্যতম এই পুজোর।
কে এই রো রা সুর ?
রোরাসুর আসলে যাকে ভেবে করা ক্লাবের কর্মকর্তারা কিন্তু সরাসরি তার নাম মুখে না নিলেও পোস্টার ব্যানারে স্পষ্ট যে, এই ‘অসুর’ আসলে ইউটিউবার রোদ্দুর রায় (Roddur Roy)।
“যে মুখ্যমন্ত্রী করোনাকালে বাংলার পুজো কমিটিগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জন্য আজ বাংলার দুর্গাপুজো UNESCO-র হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুবাক্য ব্যবহার করেছেন ইউটিউবার রোদ্দুর রায় (Roddur Roy)। এখানে অসুর হল তাঁর কদর্য ভাষা। যা জনসমক্ষে মুখে আনা যায় না। এখনই এর শেষ না হলে সুস্থ্য সমাজের সংস্কৃতি নষ্ট হতে বসেছে ” এমনটাই মনে করছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
খুঁটি পুজোর বিশেষ অনুষ্ঠানে উৎসব প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন বরাহনগর বিধানসভার বিধায়ক তাপস রায়, কামারহাটি পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা, বরাহনগর পুরসভার উপ পুরপ্রধান দিলীপ নারায়ণ বসু , কাউন্সিলার সোমনাথ রায়চৌধুরী, মেঘনা মিত্র সহ অন্যান্য সদস্যরা।
প্রতি বছরের মতো এই বছরও নতুন চমক দিতে প্রস্তুত মানস বাগ সর্বজনীন। তবে এবছর পুজোর পোস্টারে রোদ্দুর রায়ের ছবি । পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা অভিজিৎ চাকলাদার এই প্রসঙ্গে জানান এখানে রোদ্দুর রায় নাম সরাসরি না বলে রো রা সুর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্প্রীতি সামাজিক মাধ্যমে তিনি নানান মনীষী থেকে সমাজে উচ্চস্থানীয় ব্যক্তির উপর কদর্য ভাষা প্রয়োগ করেছেন তা এক প্রকার শব্দ দূষণ। তাই এই রোগের থেকে অসুর কে ত্রিশূলে বধ করে পঁচাত্তর তম বর্ষে খুঁটিপুজো শুরু করা হল।
এবছর মণ্ডপের থিম সমান্তরাল। সৃজনে শিল্পী সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, মাতৃরূপ দেবেন পরিমল পাল ও আলোক নির্দেশনায় দীনেশ পোদ্দার।