ভরা বর্ষায় বাজার আগুন। ক্রমশ মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে সবজির দাম। সামান্য সবজি কিনতেই পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কলকাতার বাজারে বেগুন ১০০ টাকা কেজি, টম্যাটো ৮০, লঙ্কা ১৫০, উচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, সজনে ডাঁটা ২৫০ থেকে ৩০০, ঢ্যাঁড়শ ৮০, পটল ৫০, পেঁপে ৫০ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, জ্যোতি আলু- ৩৫ টাকা। চন্দ্রমুখী আলু- ৪০ টাকা কেজি। বেগুন- ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। পটল- ৫০ টাকা। কাঁচা লঙ্কা- ১৫০ টাকা। টমেটো- ৮০ আশি টাকা ঢেঁড়শ- ৬০ টাকা। বিন- ৩০০ টাকা। শসা- ৮০ টাকা। করোলা- ৮০ টাকা। পেঁপে- ৫০ টাকা। রসুন- ৩০০ টাকা। আদা- ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। বিট- ৬০ টাকা। গাজর- ৬০ টাকা কেজি। মুরগীর মাংসের দাম তো অনেকটাই বেড়েছে। ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে দাম হয়েছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা প্রতি কেজি। মাছের দাম ও বেশ কিছুটা বেড়েছে।
মাসখানেক ধরেই বাজার একেবারে আগুন। বাঙালির হেঁশেলে যা যা লাগে, সবের দামই চড়া। এই পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বাজার কমিটির সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়াতেই শাক-সবজি, মাছ-মাংসের দাম এত বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। বাজার করতে গিয়ে কার্যত হাত কামড়াতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আজ নবান্নের সভাঘরে বৈঠক ডেকেছেন মমতা। বৈঠকে থাকবেন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, টাস্ক ফোর্স, পুলিশের কর্তা, বিভাগীয় মন্ত্রী, সচিবরা। কী পদক্ষেপ করা যায়, সেখানে আলোচনা করে দেখা হবে। যদিও ব্যবসায়ীদের মতে, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে, দাম কমার সম্ভাবনা আপাতত নেই।