আরজি কর ঘটনায় একদিকে উত্তাল রাজ্য। চিকিৎসকরা রাস্তায় নেমেছেন। আন্দোলন করছেন। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। নিজেদের মতো একদিকে যেমন আন্দোলন করছেন, তেমনি চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন করছেন। সেই পরিস্থিতিতে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের (Private Hospital) মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় রোগীর পরিবারের একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালের (Private Hospital) এক মহিলা চিকিৎসক এমারজেন্সির সামনে ডিউটিতে ছিলেন। সেই সময় রোগীর পরিবারের এক সদস্য হিন্দিতে কার্যত ওই মহিলা চিকিৎসককে (Private Hospital) হুমকি দেন। যার বংলা তর্জমা হয়, “এখানে আরজি কর ঘটিয়ে দেবো।” এই হুমকির পরেই হাসপাতাল জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, এই ঘটনার পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা (Private Hospital)। তাঁরা হাসপাতালের এমারজেন্সিতে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেন। তাঁরা দাবি করেন যতক্ষণ পর্যন্ত না অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে, ততক্ষণ এমারজেন্সিতে কোনও রোগীকে ভর্তি নেওয়া হবে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফুলবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফুলবাগান থানার পুলিশ রোগীর পরিবারের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন।
অন্যদিকে, আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতিতে রোগীর পরিবার জেলার এক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে একইভাবে হুমকি দিয়েছিল। সেখানে অভিযোগ ছিল, মত্ত অবস্থায় এক যুবক আসেন। কেন আসেন বোঝা যায় না। কারণ তাঁর কোনও রোগী সেই সময় স্বাস্থ্যেকেন্দ্রে ছিলেন না। সেই সময় মত্ত যুবক মহিলা স্বাাস্থ্যকর্মীকে বলেন আরজি করের চিকিৎসকের মতো পরিণতি হবে বলে হুমকি দেয়। স্থানীয় পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
অন্যদিকে, দুই দিন পেরিয়ে গেছে, স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনায় বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার জুনিয়র চিকিৎসকদের ইমেল করা হয় মুখ্যসচিবের তরফ থেকে। জানানো হয়, নবান্ন জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে আগ্রহী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন। তবে লাইভ টেলিকাস্ট করা যাবে না। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ১৫ জনের প্রতিনিধি দল আসতে পারবেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে বার বার বলা হয়েছে, তাঁরা ৩০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।