কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু (Purnima Kandu) মৃত্যু ঘিরে প্রথম থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, স্বাভাবিক মৃত্যু (Purnima Kandu) নয়। তাঁর দেওরপো মিঠুন কান্দু দাবি করেছিলেন, তাঁর কাকিমাকে (Purnima Kandu) কেউ বা কারা খুন করেছে। এবার পূর্ণিমা কান্দুর (Purnima Kandu) ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই কংগ্রেসের কাউন্সিলরের পেটে বিষের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। তবে কে বা কারা পূর্ণিমা কান্দুকে হত্যা করেছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ঝালদা পুরসভার ১২নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন পূর্ণিমা কান্দু। তাঁর স্বামীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল। নবমীর রাতে আচমকা পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্য হয়। চিকিৎসার জন্য নূন্যতম সময় পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। । গত ১১ অক্টোবর রাতে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বাড়ি ফিরে পূর্ণিমার সন্তানেরা দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকরা সেখান তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বছর ৪২-এর পূর্ণিমার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ে। ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়।
প্রথম থেকেই পূর্ণিমা কান্দুর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁকে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবারের অভিযোগকেই মান্যতা দিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পূর্ণিমা কান্দুর রিপোর্টে ক্ষতিকর বস্তু পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু ক্ষতিকারক বস্তুটি কি পরিষ্কার করে এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়নি। মিঠুন কান্দুর বক্তব্য ছিল, স্লো পয়জন দিয়ে মারা হয়েছে তাঁর কাকিমাকে। জেলার কংগ্রেস নেতৃত্বও চেয়েছিল পূর্ণিমার মৃত্যুর সঠিক কারণ সামনে আসুক।
প্রসঙ্গত, বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে ঝালদার কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর গুলিতে মত্যু হয়। সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। মামলা এখনও বিচারাধীন। তাঁর মৃত্যুর পর রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় হন পূর্ণিমা কান্দু। পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চাইছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যুতে রাজনৈতিক প্রতি হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের তরফে বার বার অভিযোগ করা হয়েছে।