পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া। এই চুক্তির মধ্যে একটি ধারায় কোনও দেশ বহিঃশত্রু দ্বারা আক্রান্ত হলে অন্য দেশের পাশে থাকার অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বুধবার এই চুক্তি সই করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ে কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়। এদিন পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কিম জং উন এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন। এই চুক্তিকে তিনি ‘বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ বলে আখ্যায়িত করেন, যা উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলোর আশঙ্কা বাড়াবে।
পুতিন গত ২৪ বছরের মধ্যে প্রথমবার উত্তর কোরিয়া সফরে গেছেন। তবে ৯ মাসের মধ্যে এটি কিমের সঙ্গে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক তার। পুতিন বলেন, ‘আজ সই করা ব্যাপক অংশীদারিত্ব চুক্তিতে এক পক্ষ আক্রান্ত হলে অন্য পক্ষ তাকে সহায়তা করবে।’ তবে সেই সহায়তা কেমন হতে পারে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। যদিও পুতিন উত্তর কোরিয়ার আত্মরক্ষার অধিকার উল্লেখ করে চুক্তিটিকে ‘প্রতিরক্ষামূলক’ অভিহিত করেন।
পুতিনের এই সফরের ওপর গভীর নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে তারা। তবে কিম বলেছেন, মস্কোর সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের যে চুক্তি হয়েছে তাতে রাজনীতি, অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা জোরদার হবে। তিনি এই চুক্তিকে ‘সম্পূর্ণ শান্তিকামী ও প্রতিরক্ষামূলক’ বলে আখ্যায়িত করেন। বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক জোটবদ্ধতার নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।’
এর আগে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকের শুরুতে কিম ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে পূর্ণ সমর্থন এবং রাশিয়ার সমস্ত নীতিতে নিঃশর্ত সমর্থন প্রকাশ করেন।