আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। দেশের মানুষও ক্রমাগত আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যে প্রশ্নের মুখে নারী নিরাপত্তা। আরজি কর কাণ্ডের পটভূমিতে একটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেন টিএমসিপির নেত্রী রাজন্যা হালদার (Rajanya Halder)। এই শর্ট ফিল্মের পরিচালক টিএমসিপির নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী। এই পরিস্থিতিতে আরজি করের পটভূমিতে সিনেমা তৈরি করতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে শাসক দলকে (Rajanya Halder) । শাসক দল পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠোর অবস্থান নেয়। টিএমসিপি এই নেতা ও নেত্রীকে (Rajanya Halder) সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনায় সরব হয়েছেন রজন্যা হালদার।
সাসপেন্ডের প্রসঙ্গে রাজন্যা হালদার (Rajanya Halder) বলেন, পার্টি কেন সাসপেন্ড করেছে, সেটা পার্টি বলতে পারবে। গল্পটা প্রত্যেক তিলোত্তমার। যাঁদের দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। পরিস্থিতির চাপে সেই নির্যাতনের সঙ্গে আপোস করতে হয়েছে। কেউ কেউ তাঁদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এদিন পাল্টা নিজের দলকে প্রশ্ন করেছেন রাজন্যা হালদার (Rajanya Halder)। তিনি প্রশ্ন করেন, “কুণাল ঘোষ কি দলকে জানিয়ে পুজোর আগে গান লিখেছিলেন? দেব কি দলকে জানিয়ে প্রধান সিনেমাটি তৈরি করেছিলেন?” নিজের শর্টফিল্ম নিয়ে রাজন্যা হালদার বলেন, “এই ছবির সঙ্গে আরজি করের ঘটনার সরাসরি কোনও যোগ নেই। ছবিটি দেখার পর যদি দল সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে ভালো হতো।” প্রান্তিক চক্রবর্তী বলেন, “ছবি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বুঝতে পারছি। এটাই তো শিল্পের মজা। মানুষে মানুষে ডিফার করে।… এতে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা নেই।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এক প্রেস বিবৃতিতে জানান, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতির পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রান্তিক চক্রবর্তীকে। আর যাদবপুর-ডায়মন্ডহারবার জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতির পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজন্যা হালদারকে। এই মুহূর্ত থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর বলে জানিয়েছেন তৃণাঙ্কুর। কিন্তু, কী কারণে সাসপেন্ড করা হল রাজন্যা ও প্রান্তিককে? তৃণাঙ্কুর জানিয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তাঁদের নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই সাসপেনশন বজায় থাকবে।