নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া: আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাতে অস্ত্র নিয়ে চলল রাম নবমীর মিছিল (Ramnavami 2024)৷ প্রকাশ্য দিবালোকে তলোয়ার হাতে শোভাযাত্রায় দেখে গেল বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীকে৷ রামনবমীর দিনে সকালে হাওড়ার রামরাজাতলার রাম মন্দির থেকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন তিনি৷
মিছিল থেকেই তিনি স্পষ্ট জানান সনাতন ধর্মে অস্ত্র পূজা অতি প্রাচীন রীতি। যা সমগ্র ভারতের সনাতন ধর্মালম্বী পরিবার পালন করে আসছেন। তিনি রামনবমীর দিনে অস্ত্র মিছিলকে সমর্থন করে বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতিতে অস্ত্র ও অস্ত্র শক্তির পূজা অতি সনাতন। ভারতের উত্তর, মধ্যভাগের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সনাতনী পরিবারের সদস্যরা এর পূজা করে আসছেন, এটা নতুন কিছু না। এটা পূজার অঙ্গ, তাই এর অঙ্গ ছেদ করে এটা করা যায় না। ঠিক যেমন মাতৃশক্তির পূজাতে তার দশ অঙ্গের শক্তির উপাসনা করা হয় অস্ত্র সহ। একইভাবে এটাও পূজার অঙ্গ। এটাকে বিচ্ছিন্ন করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। ভারতের সনাতনীদের উপর রাষ্ট্রদ্রোহী শক্তির আক্রমণের বারবার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
তিনি আরও দাবি করে বলেন, ‘‘শিখ ধর্মে পঞ্চমকার সাধনা ও পূজা করা হয়, তাতে কৃপানকেও তারা পূজা করেন। সেখানে আপনি অঙ্গ ছেদ করে পূজা করতে পারেন না।
সাঁকরাইল এলাকাতে তৃণমূলের লোকেরা অস্ত্র নিয়ে মিছিল করলে তারা রামভক্ত, আর অন্যান্যরা মিছিলে অস্ত্র নিয়ে হাঁটলে তারা অভক্ত, তাদের মিছিলে অঙ্গচ্ছেদ করতে হবে, এটা চলতে পারে না। এটাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।’’
পাশাপাশি ব্যারাকপুরে রামনবমী উপলক্ষে ভাটপাড়া পুরসভার বাবুপাড়ায় রাম মন্দিরে ও নৈহাটি বিধানসভায় গৌরীপুর চৌমাথাতে হনুমান মন্দিরে পূজা দিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। এছাড়াও আজ রামনবমীর শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে তৃণমূলের উদ্যোগেও। উত্তর হাওড়া লিলুয়া হনুমান মন্দির, মহাবীর চক থেকে শোভাযাত্রা শুরু হল৷ শেষ হবে হাওড়া সালকিয়া বজরংবলী মন্দির গভর্মেন্ট কোয়ার্টার পর্যন্ত।
রামনবমীর এই শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ রায়, ডা: রাণা চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন। অন্যদিকে, ঘাষফুল শিবিরের দাবি, কোনও তৃণমূল নেতা, কর্মী বা প্রার্থী যদি রামনবমীর আয়োজক কমিটির সঙ্গে যুক্ত হতে চান বা নিজেরা আয়োজন করতে চান সেক্ষেত্রে দলের তরফে কোনও বাধা নেই৷ আর তারপরই রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও মেতেছেন রাম নবমী পালনে৷