নিজস্ব প্রতিবেদন: দল ছাড়েননি তিনি। তবে আর ভোটের লড়াইয়ে থাকতে চান না। এমনই ইচ্ছে প্রকাশ করে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানিয়েছেন তথা বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। দিন দশেক আগেই এই চিঠি লিখেছিলেন তিনি। কিন্তু বুধবার সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
বিরোধী শিবিরের আলোচনায় উঠে এসেছে, তাহলে কি বেসুরো হলেন রবিরঞ্জনও। অথবা এ বার টিকিট পাবেন না ভেবেই আগেভাগে সরে দাঁড়ালেন তিনি। যদিও তাতে আমল দেননি প্রবীণ এই রাজনীতিক তথা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই অধ্যাপক। নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথাই দলনেত্রীকে জানিয়েছেন। আর বেসুরো হওয়া তো দূরের কথা, বরং বর্ধমানের মানুষের জন্য কাজের সুযোগ করে দেওয়ায় দলনেত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকেও।
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের হেভিওয়েট প্রার্থী তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের বিরুদ্ধে রবিরঞ্জনকে দাঁড় করান তৃণমূল নেত্রী। এবং লাল দুর্গ হিসেবে পরিচিত বর্ধমানে জয় লাভের উপহার স্বরূপ তাঁকে মন্ত্রিসভাতেও জায়গা করে দেন মমতা। দায়িত্ব পান কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের। পরে দপ্তর বদলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী হন। এছাড়া বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যানও হন তিনি। তবে ২০১৬ সালেও জয়লাভ করলেও মন্ত্রীত্ব পাননি রবিরঞ্জন। এ বার নির্বাচন ঘোষণার আগেই তাঁর ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর চিঠিতে বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। যদিও রবিরঞ্জন জানিয়েছেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে জল্পনা অনভিপ্রেত।’