রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB Win) বৃহস্পতিবার আইপিএলের ৪১ তম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে রানে পরাজিত করেছে। বিরাট কোহলির ৫১ এবং রজত পাটিদারের ৫০ রান আরসিবি-কে সাত উইকেটে ২০৬ রান করতে সহায়তা করেছিল। জবাবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (এসআরএইচ) ৮ উইকেটে ১৭১ রান তোলে। আরসিবির হয়ে স্বপ্নিল সিং, কর্ণ শর্মা ও ক্যামেরন গ্রিন নেন ২টি করে উইকেট।
আরসিবি এই মরশুমে ৩১ দিন পর এই জয়ের সরণিতে ফিরল। শেষবার তারা ২৫ মার্চ পঞ্জাব কিংসকে ঘরের মাঠে হারিয়েছিল। আরসিবি ও পাঞ্জাবের পয়েন্ট এখন ৪। তবী পয়েন্ট টেবিলে একেবারে শেষে ১০ নম্বরে আবস্থান করছে আরসিবি।
এদিন ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ওপেন করেন বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসিস। পাওয়ারপ্লেতে আরসিবি ৪ ওভারে ৫০ রানের কাছাকাছি পৌঁছেছিল, কিন্তু অধিনায়ক ডু প্লেসিস টি নটরাজনের বলে আউট হন। ১ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান তুলে নেয় তারা। কিন্তু উইল জ্যাকস, আবারও ফ্লপ হলেন। তিনি ৯ বলে মাত্র ৬ রান করেন। যখন রজত পাতিদার ৪ নম্বরে ব্যাট করতে আসেন, তখন বিরাট নিজের ভূমিকা পরিবর্তন করেন এবং দ্রুত রান করার পরিবর্তে উইকেট সামলে রাখার দিকে নজর দেন। অন্যদিকে আসা পাতিদার রান-রেটের গুরুত্ব বুঝতে পেরে দ্রুত রান করতে শুরু করেন। তিনি মায়াঙ্ক মার্কান্ডের বিরুদ্ধে এক ওভারে পরপর ৪টি ছক্কা মেরে হায়দরাবাদকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। তিনি ১৯ বলে তাঁর অর্ধ-শতরান সম্পন্ন করেন। কিন্তু ৫০ রান করার পর পরের বলেই জয়দেব উনাদকাটের বলে আউট হন তিনি।
এরপর দ্রুত রান করার চেষ্টায় কোহলিও উনাদকাটের শিকার হন। ১৪০ রানে আরসিবির জন্য এটি ছিল চতুর্থ ধাক্কা। মহিপাল লোমরর (৭) এবং দীনেশ কার্তিক (১১) ক্রিজে আসেন আর ফিরে যান। কিন্তু শেষ ওভারে ক্যামেরন গ্রিনের ২০ বলে অপরাজিত ৩৭ রান আরসিবি-কে ২০০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করতে এবং হায়দরাবাদের জন্য ২০৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
বড় টার্গেটের সামনে শুরু থেকেই আজ সানরাইজার্স কিছুটা চাপে ছিল। তারকা ব্যাটসম্যান ট্র্যাভিস হেড (১) আজ তিনি ব্যর্থ হন এবং ইনিংসের প্রথম ওভারে উইল জ্যাকসের শিকার হন। ৩ ওভারের পর দ্রুত রান করা অভিষেক শর্মাও (৩১) হাই শট খেলে আউট হন।
উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিকের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১৩ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। তাঁকে অনুসরণ করেন আইডেন মার্করাম (৭)। স্বপ্নিল সিং তাঁকে এলবিডব্লিউ আউট করেন। এটি ছিল ইনিংসের পঞ্চম ওভার এবং একই ওভারে, হেনরিচ ক্লাসেন আরসিবি-কে পাল্টা আক্রমণ করার চেষ্টা করে আউট হন। পাওয়ার প্লে-তে এটি ছিল হায়দরাবাদের চতুর্থ ধাক্কা।
এর পরে, সানরাইজার্স দল নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি এবং পাওয়ার প্লে-র পরেও তারা তাড়াহুড়ো করে আরও ২ উইকেট হারায়। নীতীশ রেড্ডি (১৩) ও আব্দুল সামাদ (১০) দলকে চাপ থেকে বাঁচাতে ব্যর্থ হন। শাহবাজ আহমেদের (৪০*) সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়েন প্যাট কামিন্স। কিন্তু ১৫ বলে ৩১ রান করা কামিন্সকে গ্রিন আউট করেন। কামিন্সের পর ভুবনেশ্বর কুমার (১৩) ছিলেন গ্রীনের দ্বিতীয় শিকার। নির্ধারিত ২০ ওভারে সানরাইজার্স ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করতে সক্ষম হয়।