Cyclone Dana: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা! লাল সতর্কতা জারি পূর্ব মেদিনীপুরে

ধেয়ে আসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana)। এর জেরে ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুটে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে (Cyclone Dana)। উপকূলের বাসিন্দাদের ইতিমধ্যে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে (Cyclone Dana)। একাধিক ত্রাণ শিবির চালু করা হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন জুনপুটের স্থানীয় বাসিন্দারা (Cyclone Dana)। বার বার স্মৃতিতে আসছে ইয়াস ও আমফানের স্মৃতি।

জুনপুট সংলগ্ন গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ  পেশায় হয় মৎস্যজীবী নয়তো কৃষক। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় একনাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সময় যত বাড়বে, দুর্যোগ তত বাড়বে। বুধবার সকাল থেকেই স্থানীয় মানুষ মাইকিংয়ে প্রচার শুরু করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে যাওয়ার আবেদন করা হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা ওড়িশার ধামরা ও ভিতরকনিকার মধ্যবর্তী কোনও অঞ্চলে। তার জেরে সব থেকে বেশি প্রভাব পূর্ব মেদিনীপুরে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার বেলা ১২টার আগে হোটেল ফাঁকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের। সমুদ্রের পাড়ের দোকানগুলো বন্ধ। পুলিশ ও কোস্টগার্ড ইতিমধ্যে টহল দেওয়া শুরু করেছে। সকাল থেকেই দীঘা ও ওই সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে চলছে ঝোড়ো হাওয়া।

অন্যদিকে ওড়িশার ভিতরকনিকা ও ধামরার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। বুধবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে ধামরায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। ধামরা বন্দর এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। কালো মেঘে ছেয়ে আছে গোটা এলাকা। দিন না রাত বোঝার উপায় নেই। বড়-বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমান্যতা নেই বললেই চলে। দূরে কিছুই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে জোয়ার। যে সময়ে ঘূর্ণিঝড় ডানার আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সময় জোয়ার আসার কথা  রয়েছে। ইতিমধ্যে সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। দ্রুত জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে জলস্তর বাড়তে থাকলে  ধামরার সঙ্গে ভিতরকনিকায় ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ধামরা বন্দর লাগোয়া মৎস্যজীবীদের গ্রাম। গ্রাম থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকার বাসিন্দারা ত্রাণ কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

Exit mobile version