বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে (Rekha Patra) এক্স ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে এই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। রেখা পাত্র সন্দেশখালির নির্যাতিতা এবং শেখ শাহজান বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখ। স্থানীয় মহিলারা যখন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন, তখন সন্দেশখালি সারা দেশে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। সন্দেশখালি মামলা প্রকাশ্যে আসার পর, বিজেপি বসিরহাট লোকসভা আসনের জন্য রেখা পাত্রকে মনোনীত করেছে। সন্দেশখালি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
সন্দেশখালিতে মহিলাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষের জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা এই নিয়ে এক মাস ধরে প্রতিবাদ করেছিলেন, যার পরে শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সন্দেশখালি কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর, প্রতিবাদ হিসাবে রেখা পাত্রের নাম উঠে আসে। রেখা পাত্রর গোপন বক্তব্যের ফলে শেখ শাহজাহানের সহযোগী শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বসিরহাট কেন্দ্রে বিজেপির রেখা পাত্রের নাম ঘোষণা করার পর তিনি জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন। শুধু সন্দেশখালিতেই নয়, পুরো বসিরহাটে প্রচার চলছে।
বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী রেখার প্রচারের প্রস্তুতি, জনগণের মধ্যে বিজেপির প্রতি সমর্থন এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন। কথোপকথনের সময়, রেখা পাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সন্দেশখালিতে মহিলাদের সম্মুখীন হওয়া সমস্যার বিবরণ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী রেখা পাত্রকে শক্তি স্বরূপা নামেও অভিহিত করেছিলেন।
রেখা পাত্র ছাড়াও আরও ৫ বিজেপি প্রার্থীকে নিরাপত্তা দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁরা হলেন মথুরাপুর থেকে অশোক পুরকৈত, রায়গঞ্জে কার্তিক পাল, ঝাড়গ্রামের প্রাণনাথ টুডু, বহরমপুরে নির্মল সাহা এবং জয়নগরে অশোক কান্দারি। সমস্ত প্রার্থীকে সিআইএসএফ দ্বারা নিরাপত্তা প্রদান করা হবে।
আগামী ১ জুন লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে বসিরহাটে ভোট হবে। রেখা পাত্রকে তৃণমূল কংগ্রেসের হাজী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট আসনটি তৃণমূলের দখলেই ছিল। গতবারের সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে এবার টিকিট দেয়নি তৃণমূল।
এই মাসের শুরুতে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গে দুই ডজনেরও বেশি বিজেপি নেতাকে নিরাপত্তা দিয়েছে। বর্তমানে ১০০ জনেরও বেশি বিজেপি নেতা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তা পেয়েছেন। সিআইএসএফ কমান্ডোরা এই নেতাদের নিরাপত্তা প্রদান করে।