কাতার থেকে ৮ জন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন কর্মীর নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের পর ভারত আরও একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য পেয়েছে। ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একটি পর্তুগিজ পণ্যবাহী জাহাজে থাকা ৫ জন ভারতীয়কে মুক্তি (Release of Indian Sailors) দিয়েছে ইরান। ভারতীয়দের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য নয়াদিল্লি লাগাতার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল। এখন তেহরান ৫ জন ভারতীয়কে মুক্তি দিয়েছে। ইরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
পর্তুগিজ পতাকাবাহী জাহাজ এম. এস. সি এরিসের ৭ জন নাবিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান। ১৩ এপ্রিল পণ্যবাহী জাহাজটি আটক করা হয়। পর্তুগিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে পাঁচজন ভারতীয়, একজন ফিলিপিনো এবং একজন এস্তোনিয়ান রয়েছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সংযোগের কারণে কন্টেইনার জাহাজটি আটক করেছিল ইরান। আটক জাহাজের সাতজন নাবিকের মুক্তির বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে পর্তুগাল।
পর্তুগাল এখন বাকি ১৭ জন নাবিককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস নৌবাহিনী ১৩ই এপ্রিল হরমুজ প্রণালীর কাছে কন্টেইনার জাহাজ এম. এস. সি এরীজ আটক করে। জাহাজে ১৭ জন ভারতীয় নাবিক সওয়ার ছিল। জাহাজটিকে শেষবার ১২ই এপ্রিল দুবাই উপকূলের হরমুজ প্রণালীর দিকে যেতে দেখা গিয়েছিল। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের সময় জাহাজটি আটক করা হয়।
জাহাজটি আটকের পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটা নিশ্চিত যে জাহাজটি ইহুদি সরকারের সঙ্গে যুক্ত। ভারত নাবিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছিল। গত ১৪ এপ্রিল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে ভারতীয় নাবিকদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন। নাবিকদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জয়শঙ্কর ইরানের কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন যে ভারতীয় কর্মকর্তাদের নাবিকদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হবে। নাবিকদের মধ্যে চারজন ফিলিপিনো, দুজন পাকিস্তানি, একজন রাশিয়ান এবং একজন এস্তোনিয়ান ছিলেন। ১৩ই এপ্রিল ইরানের সেনাবাহিনী ট্যাঙ্কারটি বাজেয়াপ্ত করার কয়েক দিন পর ১৭ জন ভারতীয় নাবিকের মধ্যে একমাত্র মহিলা ক্যাডেট এন টেসা জোসেফকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়।