আরজি কর ইস্যুতে ঘরে বাইরে চাপের মুখে তৃণমূল। যথেষ্ঠ অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অস্বস্তির পারদ বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দিয়ে এবার রাজ্য সভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রাক্তন আমলা জহর সরকার (Jahar Sarkar)। তিনি ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। এবং রাজনীতি থেকে নিজেকে মুক্ত করছেন।
আরজি কর নিয়ে বার বার প্রশ্নের মুখে শাসক দলের ভূমিকা। তবে জহর সরকার (Jahar Sarkar) আগেও তৃণমূলের একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার জেরে তাঁকে বার বার শাসক দলের নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে তিনি এই বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, তণমূলের প্রবীণ নেতারা যেভাবে তাঁকে বিদ্ধ করেছিলেন, তাতে তিনি অসম্মানিত বোধ করেছিলেন। তিনি পদত্যাগ করবেন বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়তো এই বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। কিন্তু জহর সরকারের কথায়, তা হয়নি।
জহর সরকার চিঠিতে লেখেন, “মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশীশক্তির আস্ফালন।” তিনি আরও লিখেছেন, “সরকারের কোনও বক্তব্যকেই মানুষ বিশ্বাস করছে না। পুরনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কেন ঝাঁপিয়ে পড়ে কথা বলছেন না।”
আরজি কর ইস্যুতে আগে সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় মন্তব্য করেছিলেন। তিনি নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ প্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে। সেই কারণে সিবিআইয়ের তদন্ত করতে অসুবিধা হচ্ছে। সাংসদ শান্তনু সেনও আরজি কর ইস্যুতে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার জেরে তাঁকে দলের কোপের মুখে পড়তে হয়েছে। এবার আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যসভার সাংসদ ইস্তফা দিলেন। তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। জহর সরকার মাত্র তিন বছর আগে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।