অনশনের ১০ দিনের মাথায় (RG Kar)সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। বৈঠকের (RG Kar) পর মুখ্যসচিব ইতিবাচক বলে আখ্যা দিলেও সিনিয়র চিকিৎসকরা চরম হতাশা প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, (RG Kar)কোনও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। কোনও রকম প্রস্তুতি ছাড়াই মুখ্যসচিব সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। সেই আলোচনায় স্বাস্থ্যসচিবের (RG Kar) আসার কথা ছিল। কিন্তু ছিলেন না।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলেন, মুখ্যসচিব বলেন, “দেখছি”, “ভাবছি”, “পজেটিভলি ভাবছি”, এর বাইরে কোনও কথা বলেননি। তাঁর আগে থেকে সব জেনে আসা উচিৎ ছিল বলে চিকিৎসকরা অভিযোগ করেন। পাশাপাশি চিকিৎসকরা জানান, ‘সরকারের তরফে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। সরকার ভাসা ভাসা প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না। সরকার পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াকিবহাল, তাও কোনও প্রস্তুতি ছাড়াও বৈঠক। স্বাস্থ্য সচিবকে ছাড়া কেন বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব। হাসপাতালগুলিতে দুর্নীতি-চক্রের কথা জানানো হয়েছে। সরকারের তরফে সমস্যা সমাধানের কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি মেলেনি।’
অন্যদিকে, মুখ্যসচিব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের সাত দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তিন দফা দাবি নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও সিনিয়র চিকিৎসকরা বলেছেন, ভাসা ভাসা প্রতিশ্রুতি তাঁরা মানেন না।
অন্যদিকে, অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্যকে ইতিমধ্যে নীলরতন সরকার হাসপাতালের সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক তনয়া পাঁজার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি অনশন মঞ্চ ছেড়ে এখনই যেতে রাজি নন।
অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা রাজভবন অভিযান করেন। সেখানে অসংখ্য সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছেন। সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ সেখানে অংশগ্রহণ করেন।