আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে প্রথম থেকেই চিকিৎসকদের একাংশ দাবি করে এসেছেন, যেভাবে নির্যাতিতাকে (RG Kar) অত্যাচার করা হয়েছে, সেটা একটা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। সোমবার প্রিজনভ্যানে ওঠার সময় (RG Kar) সঞ্জয় রায় সাংবাদিকদের দেখে বলেন, তাঁকে ডিপার্টমেন্ট থেকে চুপ থাকতে বলা হয়েছে। তাঁকে (RG Kar) সরকার ফাঁসাচ্ছে। সঞ্জয় রায়ের মন্তব্যের পরেই প্রতিক্রিয়া দেখান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এত বড় গভীর চক্রান্ত করতে সময় লাগতে পারে। আশা করব সিবিআই সমাধান করবে। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র আজ মুখ খুলেছে। আমি প্রথম দিন থেকে বলেছি এই ঘটনায় একা ও জড়িত নেই। সিবিআইকে সত্য সামনে আনতে হবেই।” এই প্রসঙ্গে তীব্র মন্তব্য করেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তিনি বলেন, “প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে বা ফেসবুক খুললে দেখতে পাচ্ছি বাচ্চা মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ বা প্রশাসনের সেই অর্থে কোনও ভূমিকা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। যেটা ফালাকাটায় হয়েছে বা পটাশপুরে হয়েছে অভিযুক্তকে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা চলতে থাকবে। যতদিন না টনক নড়ে।”
সোমবার আদালতের প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় সঞ্জয় রায়ের মন্তব্যে রাজনীতিতে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সঞ্জয় রায়ের মন্তব্যে আরজি কর কাণ্ডে বড চক্রান্ত কাজ করছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। যদিও আরজি কর কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে শুধু সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ রায় ও তৎকালীন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু নির্যাতিতাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সঞ্জয় রায়কে ছাড়া সিবিআই কাউকে গ্রেফতার করেনি। এমনকী হত্যা কাণ্ডের ৫৫ দিনের মাথায় সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে তাতেও প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়ের নাম রয়েছে। সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে চিকিৎসকদের একাংশের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।