আরজি করে (RG Kar) নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আরজি করে (RG Kar) এমারজেন্সি বিভাগের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রক্তমাখা গ্লাভস। হাসপাতালের (RG Kar) কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্সরা প্রথম বিষয়টি সামনে আনেন। (RG Kar) অভিযোগ, গ্লাভসে রক্ত লেগে রয়েছে। যার ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সিনিয়র চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। আর আগেও আরজি করে বর্জ্য দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন এই হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।
আরজি করে বাক্স বন্দি গ্লাভস পাওয়ার পরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এদিনের ঘটনাটি সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে জানানো হয়েছে। আরজি করে হাজির হয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে একজন HIV পজিটিভ রোগী আসেন। তাঁর কাছে এগিয়ে যান এক চিকিৎসক। তিনি চিকিৎসা করার জন্য স্টোর থেকে গ্লাভস নিতে যান। সিলড প্যাকেট থেকে গ্লাভস বের করতে গিয়ে দেখেন গ্লাভসে দাগ লেগে রয়েছে। ওই চিকিৎসকের দাবি, একটি গ্লাভসে দাগ রয়েছে বলে ভেবে অন্য গ্লাভস বের করেন। কিন্তু দেখা যায়, প্রত্যেকটি গ্লাভসেই দাগ রয়েছে। ওই দাগ রক্তের বলে চিকিৎসক ও নার্সরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে, তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই ধরনের সংক্রমিত গ্লাভস যদি হাসপাতালে আসে, সেগুলি যদি ব্যবহার করা হয়, চিকিৎসক এবং রোগীদেরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে, হাসপাতালে নিরাপত্তা, নির্যাতিতার বিচার সহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আরজি করের চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী সপ্তমীর সকালে জুনিয়র চিকিৎসকদের পরীক্ষা করে জানিয়েছেন। তিনি পরীক্ষা করে বলেন, অনিকেতের অবস্থা বিপজ্জনক। চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনিকেতের দেহে কিটোন বডির উপস্থিতি মিলতে শুরু করেছে। কিটোন বডির পরিমাণ ৩+। কিটোন বডি বাড়তে থাকলে কিটো অ্যাসিডোসিস হয়ে কোমায় যেতে পারে রোগী। ধীরে ধীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ারও সম্ভা বনা থাকে। এছাড়াও এই অনশনের প্রভাব অনিকেতের লিভারের ওপর পড়তে শুরু করেছে। চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসকরা। কিন্তু নিজের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানার পরেও অনিকেত মাহাতো নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছে।