আরজি কর দুর্নীতিকাণ্ডে (RG Kar Case) সাতসকালে ইডির(ED) তল্লাশি। শহরের ছ’টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায়ের উত্তর কলকাতার বাড়ি ও নার্সিংহোমে তল্লাশি চালায়। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে এক ঔষধ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দেয় ইডি।
বৃহস্পতিবার বিটি রোডের পাশে শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের সিঁথি বিটি রোডের বাড়ি ‘সরযূ ভবন’ এ হানা দিয়েছিল সিবিআই। ফের মঙ্গলবার সকাল সকাল অ্যাকশন মোডে ইডি। আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় (RG Kar Case) ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
আখতার আলির অভিযোগের তদন্তে নেমে সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করছে সিবিআই। এবার সেই সূত্র ধরেই আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন, সেই সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি ও নার্সিংহোম ইডির স্ক্যানারে।
সকাল পৌনে ৭টা এসে রাত পৌনে ২ টো পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ১৮ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি চালানর পর রাত ১ টা নাগদ ইডির ৫ সদস্যের একটি দল বেরিয়ে আসেন সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি থেকে। তবে তখনও ইডির অন্য আর একটি দল তদন্ত চালিয়ে যান। জানা গিয়েছে, নার্সিংহোম সম্পর্কিত একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে ইডির পক্ষ থেকে। ডাক্তার সুদীপ্ত রায়ের পাশাপাশি জেরার মুখে পরেন নার্সিংহোমের ম্যানেজার। এরপর রাত ১ টা ৪৭ নাগাদ ডাক্তার সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন ইডির ৫ সদস্যের আরও একটি দল। বড় একটি কার্টুন গাড়িতে তুলতে দেখা যায় ইডির সদস্যদের। যদিও এই ব্যাপারে সুদীপ্ত রায় কিছু বলতে চাননি। তবে সরয়ু নার্সিংহোমের ম্যানেজার মৌখিক ভাবে জানান, ওই নার্সিং হোমে কি কি ধরনের চিকিৎসা হয় এবং কি ধরনের রোগীরা আসেন সেগুলো জানতে চায় ইডি। এবং যাওয়ার সময় নার্সিংহোমের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে বেরিয়ে যান ইডির প্রতিনিধি দল।