আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সোমবার আদালতে সাক্ষী দিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী এক অফিসার। শিয়ালদা অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আদালতে আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে প্রথম কোনও সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিক সাক্ষ্য দিলেন। প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) মামলায় মোট সাক্ষীর সংখ্যা ৫১। ৫০ তম সাক্ষী হিসেবে সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার (RG Kar) শুরুতেই নির্যাতিতার বাবার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। মামলায় ৫১ তম সাক্ষী হিসেবে ঘটনার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় সাক্ষী দেবেন।
আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায় ছাড়াও সিবিআই তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল। গ্রেফতারের ৯০ দিন পরেও সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। যার জেরে অভিযুক্ত দুই জনেই ছাড়া পেয়ে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে রাজ্য জুড়ে চাপান উতোর শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতি জুনিয়র চিকিৎসকরা সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করেন। অন্যদিকে, আরজি করে এমারেজন্সি বিল্ডিংয়ের চার তলায় চেস্ট ডিপার্টমেন্টের ওটি রুমে তরুণী চিকিৎসকের দেহ পাওয়া গিয়েছিল। তারপরেও সিবিআই কেন আট তলার ওটি ডিপার্টমেন্টের একটা রুম সিল করে রেখেছে, তা জানা যায়নি বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা অভিযোগ তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। তাহলে কেন আটতলার ঘর সিল করে রেখেছে সিবিআই? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, আরজি করের আটতলায় অর্থোপেডিক, পেডিয়াট্রিক, প্লাস্টিক সার্জারি, ইউরোলোজির অস্ত্রোপচারের জন্য চারটি ওটি ঘর রয়েছে। অর্থোপেডিক টেবিল ২-এর ঠিক উল্টোদিকের ঘর সিল করেছে সিবিআই। এই ঘরে নাকি ওটি-তে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, সলিউশন স্টোর করে রাখা হয়।
অন্যদিকে, আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা তাঁদের প্রাক্তন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন।