দুই দিন পিছানোর পর আরজি কর মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার আরজি করে রাজ্যের হয়ে (Supreme Court) সওয়াল করছেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। এদিনের শুনানিতে (Supreme Court) সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অনুপস্থিত।
সিবিআই প্রথমে মুখ বন্ধ খামে স্টেটাস রিপোর্ট দেবেন। তারপরেই শুরু হবে শুনানি। মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেটি পিছিয়ে বুধবার হয়। বুধবারও আরজি কর মামলার শুনানি হয়নি। পরে তা পিছিয়ে বৃহস্পতিবার হয়। অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে ইতিমধ্যে শিয়ালদহ আদালতে চার্জ গঠন হয়েছে। ১১ নভেম্বর থেকে ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন আরজি কর কাণ্ডের ট্রায়াল হবে শিয়ালদহ আদালতে। যদিও এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সিবিআই এখনও তদন্ত শেষ করেনি। যদি ট্রায়াল শুরু হয়, সেক্ষেত্রে আরজি কর কাণ্ডের বড় ষড়যন্ত্রের যে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, সেই বিষয়েত তদন্ত করতে সিবিআইকে সমস্যায় পড়তে হবে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, স্টেটাস রিপোর্ট দেখার পরেই এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা ফের একবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি লিখেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক হয় নবান্নে। সেখানে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু সেই বিষয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ হয়নি বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন। এই বিষয়ে ফের একবার রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি লিখলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
মুখ্যসচিবকে লেখা জুনিয়র চিকিৎসকদের চিঠিতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নে বৈঠকে প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (আরডিএ) গঠনের বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো রেকর্ডে তা উল্লেখ করা হয়নি। ওবিসি সংরক্ষণের বিষয়ে আদালতে মামলার কারণে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। তবে একটিও নিয়োগ না করার পক্ষে এটি কোনও যুক্তি নয়। যদি কোনো নির্দিষ্ট রিজারভেশনে নিয়োগ বন্ধ থাকে, তার জেরে সমস্ত নিয়োগ বন্ধ থাকার কোনও কারণ থাকতে পারে।