আরজি কর (RG Kar Case)কাণ্ডে মোড় ঘোরানো তথ্য সামনে এসেছে। যার জেরে আরজি কর কাণ্ডে আরও অস্বস্তিতে শাসক দল। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের নেতা আশিস পাণ্ডেকে নজরে রাখছে সিবিআই। আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) এই তৃণমূল নেতার ভূমিকা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ আগস্ট যেদিন আরজি করে (RG Kar Case) তরুণী চিকিৎসকদের দেহ পাওয়া যায়, সেদিন বেলা ১২টা নাগাদ এই হোটেলে ওঠেন এই নেতা। সঙ্গে তাঁর মহিলা বান্ধবী ছিলেন। পরের দিন অর্থাৎ ১০ আগাস্ট বেলা ১১টা নাগাদ ওই নেতা বেড়িয়ে যান। রেজিস্ট্রার বুক নিয়ে হোটেলের দুই কর্মী ইতিমধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছিল। কিন্তু আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুনের (RG Kar Case) সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতা কীভাবে যুক্ত সেই বিষয়ে কোনও খোলসা করেননি সিবিআই আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, তৃণমূলের বিধায়ক তথা চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়ের নাম বার বার জড়িয়েছে। আরজি করে (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের নাম জড়িয়েছে। সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি, নার্সিংহোম তল্লাশি চালায় ইডি। জানা গিয়েছে, সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে টানা ২০ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় ইডি। দুই ব্যাগ ভর্তি নথি উদ্ধার করা হয়েছে সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি থেকে। পাশাপাশি সুদীপ্ত রায়ের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই মোবাইলের লক খোলার জন্য ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন সুদীপ্ত রায়।
অন্যদিকে, সিজিও কমপ্লেক্সে DYFI নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেই কারণেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা তাঁকে জেরা করা হয়। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয় বলেও সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হওয়ার সময় মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “গোটা রাজ্যে লড়াই চলছে। যদি প্রয়োজন পড়ে সিবিআই আবার আমাকে ডেকে পাঠালে আমি যাবো।” তিনি বলেন, “তদন্তে সহযোগিতা করেছি। গোটা দেশের মানুষ, রাজ্যের মানুষ এই নৃশংস ঘটনার বিচার চাইছেন। নিজের হাসপাতালে, নিজের বিভাগে একজন ডাক্তার খুন হয়ে যাবেন, তা দেখে সকলে চুপ করে বসে থাকবেন, তা হয় না।”