আরজি করে তরুণী চিকিৎসক (RG Kar) খুনে এখনও পর্যন্ত পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে সরাসরি ধর্ষণ ও খুনের (RG Kar) ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। শিয়ালদহ আদালতে এদিন সিবিআই জানায়, সঞ্জয় রায়কে এই ঘটনায় (RG Kar) কেউ প্ররোচনা দিয়েছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া সঞ্জয় রায়কে কেউ আশ্রয়(RG Kar) দিয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে গত দুই মাস ধরে একটা প্রশ্ন বার বার উঠছে? এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে (RG Kar) একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকার সম্ভাবনা বেশি। সিবিআই জানিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা-মাকে কেন প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলা হল, তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, সঞ্জয় রায়ের ওপর সমস্ত দায় চাপাতে তাকে সেমিনার রুমে ডাকা হয়েছিল। পাশাপাশি সিবিআই সেই সময় মনে করে, আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে খুন করাই আসল উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু নজর ঘোরাতেই তরুণী চিকিৎসককে হত্যার পর ধর্ষণ করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতি সন্দীপ ঘোষের নারকো টেস্ট ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই।
পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ এবং রেকর্ড হওয়া বয়ান খতিয়ে দেখে নাকি সিবিআই আধিকারিকরা মনে করছেন, জখন করে অজ্ঞান অবস্থায় ওই তরুণী চিকিৎসককে সেমিনার রুমে রেখে আসা হয়েছিল। এরপর খবর দেওয়া হয়েছিল সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। সেখানেই তরুণী চিকিৎসকের ওপর যৌন নির্যাতন চালায় সঞ্জয় রায়। তারপর ওই তরুণী চিকিৎসককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। কিন্তু কার নির্দেশে সঞ্জয় রায় তরুণী চিকিৎসককে হত্যা করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
এদিকে গতকাল আদালতে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী এবং অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীরা দাবি করেন, প্রভাব খাটানোর কথা বলে সিবিআই বার বার জামিন আটকানোর চেষ্টা করছে। প্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা জামিন যোগ্য। তাহলে কেন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন সন্দীপ ও অভিজিতের আইনজীবীরা।