রাত পোহালেই আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। তার আগে সোমবার শিয়ালদহ আদালতে আরজি করের (RG Kar) ধর্ষণ-খুন মামলার চার্জ গঠন হল শিয়ালদহ আদালতে। শিয়ালদহ আদালতে (RG Kar) চার্জ গঠন হলেও সিবিআইয়ের তদন্ত জারি রয়েছে। শিয়ালদহ আদালতে সিবিআইয়ের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, প্রথম চার্জশিটে শুধু (RG Kar) সঞ্জয় রায়ের নাম থাকলেও তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।
শিয়ালদহ আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “আরজি কর ঘটনার পরেও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে আরজি করের তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের যোগাযোগ ছিল। কেন এই ঘটনার চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই বিষয়েও তদন্ত করছে সিবিআই।” এদিন সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, “ চার্জশিটে আমরা বলিনি ওই সিভিক ভলান্টিয়ার একাই যুক্ত। ওঁর বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স পাওয়া গিয়েছে, তাই ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতা মেনে ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র ছিল কি না, তার তদন্ত করা হচ্ছে। ”
শিয়ালদহ আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় সঞ্জয় রায় সাংবাদিকদের সামনে দেখে কিছু বলতে চান। গত তিন দিনে অনেকবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন সঞ্জয় রায়। কিন্তু এবার প্রথম তিনি কিছু বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি সাংবাদিকদের সামনে পেয়ে বলেন, “ আমি কিছু করিনি।” কিন্তু সোমবার যখন চার্জ গঠন করা হল তাঁর বিরুদ্ধে, তখন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। বললেন, “সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি রেপ মার্ডার করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ডিপার্টমেন্ট আমাকে চুপ থাকতে বলেছিল।”
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। তার আগে সঞ্জয় রায় একাধিক প্রশ্নের নতুন করে জন্ম দিল। প্রথম থেকে নাগরিক সমাজ থেকে চিকিৎসকদের একাংশের বার বার অভিযোগ উঠছে, এই কাজ একা কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবে ঘটনার ৫৫ দিনের মাথায় সিবিআই যে চার্জশিট জমা দিয়েছিল, সেখানে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়কেই অভিযুক্ত করেছিল। যদিও সিবিআইয়ের চার্জশিটে সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসকদের একাংশ খুশি হতে পারে না। বার বার নিজেদের অসন্তোষের কথা তুলে ধরেছেন।