তিলোত্তমা কাণ্ডের (RG Kar Doctor Death Case) পর একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছিল বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নাম। চিকিৎসকদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে বিরূপাক্ষের নামের বিরুদ্ধের একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছিল। জুনিয়র চিকিৎসকদের ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিতেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বলে অভিযোগ এসেছিল। ৯ আগাস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালের সেমিনাররুমে দেখা গিয়েছিল এই বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে কাকদ্বীপ মেডিক্যাল কলেজে বদলি করে দেওয়া হল।
সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক ছিলেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। ঠিক যেদিন সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য ভবন, সেদিনই বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বদলির নির্দেশ পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে। বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের বার বার ফোন করে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। রীতিমতো দাদাগিরি চালাতেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সম্প্রতি চিকিৎসকদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে একটি অডিও ভাইরাল হয়। সেখানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে ইন্টার্নশিপের সার্টিফিকেট না দেওয়ার হুমকি দিতে শোনা যায় বিরূপাক্ষকে। যদিও বিরূপাক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন এই বদলি পূর্ব নির্ধারিত।
অন্যদিকে, চিকিৎসক মহলের তরফে জানানো হয়েছে, এই ক্ষেত্রে যাদের নামে বার বার অভিযোগ উঠে আসছে, তাদের জেলের ভিতর থাকার কথা। এই বিরূপাক্ষকে বদলি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কাকদ্বীপের জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে কতটা ঢুকতে দেবেন, সেই বিষয়েও চিকিৎসক মহলে সন্দেহ রয়েছে।
বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে ৯ আগাস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুমে (RG Kar Doctor Death Case) দেখা গিয়েছিল। সেমিনার হলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে বিরূপাক্ষকে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। IMA-এর পক্ষ থেকে সরাসরি ভাইরাল ভিডিওয়ের একটি স্টিল ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যেখানে বলা হয় এটা কি বিরূপাক্ষ বিশ্বাস? সেমিনার হলে কি সেদিন তিনিও উপস্থিত ছিলেন? এরপরেই বিভিন্ন মহল থেকে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কেন সেখানে ‘বহিরাগত’ বিরূপাক্ষ উপস্থিত ছিলেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পুলিশের প্রকাশ করা ছবিতে কেন বিরূপাক্ষ ছিলেন না। তাহলে কি পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ছবি ক্রপ করে প্রকাশ করেছিলেন?