শনিবার সিবিআই (RG Kar Doctor Death) টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। সিবিআইয়ের হাতে একাধিক প্রমাণ এসেছে বলে জানা গিয়েছে, যার জেরে উচ্চপদস্থ চার পুলিশ আধিকারিকে সমন পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। তার মধ্যে দু’জন সাব ইনস্পেক্টর রয়েছেন। এই ঘটনার (RG Kar Doctor Death) সঙ্গে তারা সরাসরি যুক্ত বলে সিবিআই মনে করছে। তবে টালা থানার ওসির সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের একটি যোগ রয়েছে বলে সিবিআই মনে করছে। সেই বিষয়েও চার উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিককে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। পুলিশ অফিসারদের কর্তব্যে (RG Kar Doctors Death) গাফিলতির বিষয়টি (RG Kar Doctors Death) নজরে এসেছে সিবিআইয়ের। দ্রুত চার পুলিশ অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই চার পুলিশ আধিকারিকের নাম ও পদমর্যাদা প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
সিবিআই সূত্রে অভিযোগ, একটা বড় অংশের পুলিশ অফিসার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে ভুল পথে চালিত করেছে। সিবিআই মনে করছে, সেই পুলিশ আধিকারিকরা তথ্য প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে যুক্ত। সন্দীপ ঘোষের অঙ্গুলিহেলনেই পুলিশ অফিসাররা এই কাজ করেছেন বলে পুলিশ মনে করছে। সেই কারণে পুলিশ বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা দেখছে। সিবিআই জানিয়েছেস সেই কারণে এই চার পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, সমগ্র তদন্তের তিনটি ধাপ রয়েছে। এক, ধর্ষণ–খুনের ঘটনা কে ঘটাল? দুই, কী কী তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হল? তিন, সমগ্র ষড়যন্ত্রে কারা কারা জড়িত? সমগ্র ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের হাতে জোড়াল প্রমাণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ (RG Kar Doctor Death) সিবিআই আদালতে পেশ করেছে। অভিজিৎ মণ্ডল ঘটনার দিন সকাল ১০টায় খবর পেলেও কেন এত দেরিতে এফআইআর করল বলে অভিযোগ উঠেছে। ওসির নেতৃত্বে তথ্য প্রমাণ (RG Kar Doctor Death) লোপাট করা হতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। এত ঘণ্টা পরে FIR কেন দায়ের করা হল, সেই নিয়েও একাধিক সন্দেহ সামনে এসেছে। ওই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বহু প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘পুলিশ ও সিবিআই-এর মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই, আমরা সত্যি খোঁজার চেষ্টা করছি, পুলিশ বলে নয়, সন্দেহভাজন বলেই টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’