পল্লব হাজরা, বিধাননগর: আরজিকর কাণ্ডে (RG Kar Doctor Death) বাতিল হয়েছে যুবভারতীতে হওয়া ডার্বি ম্যাচ। বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের আঁচে উত্তপ্ত হতে পারে এই ম্যাচ যা সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত পুলিশ নেই। রাজ্য প্রশাসন ও ডুরান্ড কমিটি দফায় দফায় বৈঠক করলেও মেলেনি রফা সূত্র। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় রবিবাসরীয় ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ডুরান্ড ডার্বি ম্যাচ। ম্যাচ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট হতাশ হন ফুটবলপ্রেমী মানুষ। তবে ম্যাচ বন্ধ হলেও আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদী আন্দোলনের ডাক দেয় ফুটবল সমর্থকেরা।
রবিবার বিকেলে যুবভারতীর সামনে পুলিশকে কার্যত গোলরক্ষকের ভূমিকায় দেখা যায় । স্টেডিয়ামের ২০০মিটার মধ্যে জমায়েত রুখে দেয় বিশাল পুলিশ। বিকেল ৪ থেকে রাত ১২ পর্যন্ত জারি করা হয় ১৬৩ ধারা । তবে সময় গড়াতে ই এম বাইপাস চলে যায় ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকদের দখলে। স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। একজোট হয়ে প্রতিবাদে গর্জে ওঠে তিন পক্ষ। সমর্থকদের গর্জনে শোনা যায় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এতদিন গ্যালারিতে প্রতিপক্ষ হিসেবে গলা ফাটালেও রবিবারের বিকেল ছিল একেবারেই অন্যরকম। শহরের রাজপথে আরজি কর তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর প্রতিবাদে একজোট যুযুধান তিনপক্ষ। তবে অভিযোগ ওঠে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কিছু ফুটবল প্রেমী মানুষকে তুলে নেওয়া হয় প্রিজম ভ্যানে ।
এদিন সমর্থকদের হাতে ছিল ক্লাবের দলীয় পতাকা সহ প্ল্যাকার্ড। তাদের মুখে শোনা স্লোগান ছিল ‘লাঠিচার্জ করবি কর জাস্টিস ফর আর জি কর’। তিন সমর্থকদের মধ্যে যুবভারতীর সামনে দেখা যায় মোহনবাগানের অধিনায়ক সুভাশিষ বোস। সন্ধ্যায় বৃষ্টি শুরু হলে সমর্থকদের ভিড় সরে যায়নি রাজপথ থেকে।
এক ফুটবল সমর্থক দেবরাজ মন্ডল জানান পুলিশের অভাবে বন্ধ হয়েছে ডার্বি। এখন মাঠের বাইরে এত পুলিশ দেখে মনে হয়েছে ডার্বি হতে কোন সমস্যা হতো না।
ফুটবল প্রেমী সঞ্চিতা রায় বলেন ১৪ ই আগস্ট রাতে পুলিশের এত তৎপরতা থাকলে আরজিকর ভাঙচুরের ঘটনা হতো না। তবে আজকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কেন এত পুলিশি তৎপরতা।