আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Doctor Death) তদন্ত করছে সিবিআই। মৃতা তরুণী চিকিৎসকের চোয়ালে কামড়ের দাগ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই তদন্ত করে জানতে চাইছে, সেই কামড়ের দাগ (RG Kar Doctor Death) সঞ্জয় রায়ের কি না। সেই কারণে আবারও ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠাল সিবিআই।
এর আগে সিএফএসএল বিশেষজ্ঞদের দাবি ছিল, সেই কামড়ের দাগ (RG Kar Doctor Death) অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের। বুধবার সিবিআইয়ের আধিকারিকরা প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছান। জানা গিয়েছে, তদন্তকারী আধিকারিকরা সেখান থেকে সঞ্জয় রায়ের লালারস সংগ্রহ করেছে। নিহত তরুণীর ডানদিকের চোয়ালে কালো রঙের কালশিটে ছিল। সেটা বাইট মার্ক বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই দাগ কার তৈরি করা, সেই বিষয়ে সিবিআই তদন্ত করতে শুরু করেছে। সিএফএসএল এই দাগ ধৃত সঞ্জয় রায়ের তৈরি করা হলে দাবি করেছিল।
সিএফএসএল এর রিপোর্টে (RG Kar Doctor Death) সিবিআই যে সন্তুষ্ট নয়, তা সুপ্রিম কোর্টে আগেই জানিয়েছিল। দিল্লিতে সেই নমুনা পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এইএমসে যে ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়েছিল তাতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তির অস্তিত্বের কথা জানা যায়নি।
অন্যদিকে, তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের (RG Kar Doctor Death) বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের সম্পূর্ণ সমর্থন করছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। বর্তমানে জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্না দিয়েছেন। অগুনতি সাধারণ মানুষ সেই ধর্নায় অংশগ্রহণ করেছেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের দাবি না মানা হলে, তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। নবান্ন থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে আলোচনায় বসায় জন্য মেল পাঠানো হয়। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা চারটে শর্ত রেখেছিলেন। সেই শর্ত মেনে নবান্ন বৈঠকে বসতে চায় কি না, সেই বিষয়ে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। যার জেরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না মঞ্চ কবে উঠবে, কবে জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরবেন, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।