আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Doctor Death) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়কে আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। কিন্তু সিবিআই সূত্রের খবর, তাকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করানো হবে। সশরীরে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে না। বর্তমানে সঞ্জয় রায় প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন।
আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় (RG Kar Doctor Death) পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে। এখনও পর্যন্ত একজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হলে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে হস্তান্তর করে। আরজি কর মামলায় এর আগে যেদিন সঞ্জয় রায়কে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়েছিল, সেদিন ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। সাধারণ মানুষ থেকে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা সেখানে ভিড় করেছিলেন। তবে সেদিন সাধারণ কক্ষে এই মামলার শুনানি হয়নি। যে কক্ষে সকলের প্রবেশের অনুমতি থাকে না, সেখানে তার মামলার শুনানি হয়েছে।
অনেকে মনে করছে, সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের জনরোষ রয়েছে। সেই জনরোষের কারণে আদালত চত্বরে তাকে সশরীরে নিয়ে গেলে অপ্রীতিকর অবস্থার মুখে পড়তে হতে পারে সিবিআইকে। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সেই কারণে তাকে ভার্চুয়ালি আদালতে উপস্থিত করানো হবে। তবে এই বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
৯ আগস্ট আরজি করের সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ (RG Kar Doctor Death) পাওয়া যায়। তারপর থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ পুলিশের তরফে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় প্রথম কয়েকদিন কলকাতা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ১৩ আগস্ট এই মামলার দায়িত্ব সিবিআইকে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার বাবা-মা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছেন। ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নির্যাতিতার বাবা-মা আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে যোগ দেন। তাঁরা সেদিন সরাসরি পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অন্যদিকে, এই ঘটনায় সারা রাজ্যের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। ইতিমধ্যএ দুদিন রাজ্যের বাসিন্দারা রাত দখলের ডাক দিয়েছে। সেখানে বিপুল সাড়া পড়ে।