আরজি কর ইস্যুতে (RG Kar Doctor Death) এবার তৃণমূলের অভ্যন্তরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন তুললেন খোদ তৃণমূলের সাংসদ হুমায়ুন কবীর। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসার জানান, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। পরিবারকে একের পর এক তথ্য দেওয়া হয়েছিল, সেটাতে অসঙ্গতি রয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তিনি সরাসরি বলেন, এই ঘটনার তদন্ত কলকাতা পুলিশ চাইলে আরও ভালোভাবে করতে পারতো।
তৃণমূলের আর এক সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি সরাসরি বলেন, কলকাতা পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণ লোপাট করেছেন। আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Doctor Death) কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বরাবরই ক্ষোভ প্রকাশ করে এসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলকে প্রতীকি মেরুদণ্ড দিয়ে এসেছেন। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা অতি সক্রিয়তার সঙ্গে মেয়ের দেহ দাহ করার অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ঠিক যে সময়ে তাঁর মেয়ের দেহ বাড়িতে শোয়ানো ছিল, সেই সময় ডিসি নর্থ তাঁদের টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়। নির্যাতিতার বাবা সেই অর্থ নিতে অস্বীকার করেন। তারপরের দিন পুলিশের তরফে জোর করে একটি ভিডিও করা হয়। সেখানে তাঁদের বলতে বাধ্য করা হয়, পুলিশ তাঁদের অর্থের কোনও প্রস্তাব দেননি।
অন্যদিকে, শনিবার শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক দাবি করেছেন। আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Doctor Death) আরও বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন, CBI হেফাজতে এই তিন জনকে নেওয়া হোক। কী বললেন শুভেন্দু অধিকারি। তিনি বলেন, “কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত, ডিসি সেট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এবং বর্বর সিপি বিনীত গোয়েল এই তিন তিনজনের হেফাজতের দাবি করছি।” আরজি কর কাণ্ডে বার বার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই অভিযোগকে জোরাল করে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য যে যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বার বার অভিযোগ উঠছে কাউকে বাঁচাতে পুলিশ অতিসক্রিয় হিসেবে কাজটি করেছে। অভিযোগ উঠছে, পুলিশ প্রমাণ নষ্ট করে দিয়েছে। সেই কারণে CBI- এর তদন্তে অসুবিধা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে একের পর এক মোড় ঘোরানো তথ্য সামনে এসেছে। আরজি কর কাণ্ডে একমাত্র গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। মৃতার দেহের পাশে তাঁক মক্কেলের হেডফোন পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও আরজি করের অপসারিত প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ জোড়াল হয়েছে। সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটায় তিন তলা বাড়ির ঠিল ছোঁড়া দুরত্বে জোড়া ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই দুটো ফ্ল্যাট সন্দীপ ঘোষের নামেই রয়েছে। গ্রাউন্ড ফ্লোরের ফ্ল্যাটটিতে সন্দীপ ঘোষ অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন। ওপরের ফ্ল্যাটে মাঝে মাঝে আসতেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও গ্যারেজে একটি SUV গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। ওই আবাসনের কেয়ারটেকার বলেন, এই গাড়িটি তিন চার মাস আগে কেনা হয়েছে। তারপর থেকে এই গ্যারেজেই রয়েছে। গাড়িটিতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যাজ লাগানো রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই ফ্ল্যাটে ইডি তল্লাশি চালাতে পারে বলে জানা গিয়েছে।