তিলোত্তমা ধর্ষণ ও খুন (RG Kar Doctor Murder case) কাণ্ডে আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ ও অপসারিত টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তিলোত্তমা কাণ্ডে (RG Kar Doctor Murder case) সিবিআই প্রথম গ্রেফতার করল। অভিজিৎ মণ্ডলকে সিবিআই হাসাপাতালে নিয়ে গেছেন শারীরিক পরীক্ষার জন্য। আজকে দুপুর থেকে সিবিআইয়ের টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন অভিজিৎ মণ্ডল। তিলোত্তমা ধর্ষণ কাণ্ডে (RG Kar Doctor Murder case) এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিলোত্তমা কাণ্ডে (RG Kar Doctor Murder case) কলকাতা পুলিশ ১০ আগস্ট সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে সিবিআই দীর্ঘদিন কাউকে গ্রেফতার করেনি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, (RG Kar Doctor Murder case) প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই দুই কারণে সিবিআই দেবাশিষ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লির সিবিআই হেড কোয়ার্টার থেকে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর। তিলোত্তমা ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যাচ্ছে, সেটি খতিয়ে দেখতেই তিনি আসেন। এরপরেই সিবিআইয়ের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়।
তরুণী চিকিৎসক হত্যার ঘটনা (RG Kar Doctor Murder case) প্রকাশ্যে আসার পরেই টানা থানাতে প্রথম জানানো হয়। ঘটনাস্থলে যান টানা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। যার জেরে বার বার টালা থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এত দেরিতে কেন FIR করা হল? কেন তাড়াহুড়ো করে দেহ দাহ করা হল। ময়নাতদন্তের আগে কেন FIR নেওয়া হল না। অভিজিৎ মণ্ডলের ও সন্দীপ ঘোষের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। জানা যায় শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ অভিজিৎ মণ্ডলকে সিবিআই সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে বিকেল পাঁচটা নাগাদ সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের আবেদন করেন। শিয়ালদহ আদালতে তাঁকে গ্রেফতার করার আবেদন জানিয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জমা দেওয়া হয়। রবিবার তাঁকে আদালতে তুলে হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই।
সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতারের ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই আন্দোলনকারীরা উল্লসিত হয়ে পড়েন। তাঁরা যেন আন্দোলনের ঝাঁঝ যেন খুঁজে পান।