মাঝরাতে সিবিআইয়ের পাঁচ আধিকারিক নির্যাতিতার (RG Kar Doctor Murder Case) বাড়ি যান। মঙ্গলবার রাত ১২টার কিছু পরে সিবিআই আধিকারিকরা নির্যাতিতার (RG Kar Doctor Murder Case) বাড়ি যান বলে সংবাদ সংস্থার পরিবারে তরফে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার (RG Kar Doctor Murder Case) শুনানি হয়। সেখানে সুপ্রিম কোর্টে মুখ বন্ধ খামে সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেয়। তদন্তের খাতিরে সেই রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশ্যে আনে না। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, স্টেটাস রিপোর্টে যা রয়েছে, তা চাঞ্চল্যকর। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নির্যাতিতার বাবার চিঠিতে অনেক লিড রয়েছে। সেই তথ্যের ওপর যেন তদন্ত করা হয়। তারপরেই মাঝরাতে সিবিআইয়ের নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার শুনানির একেবারেই শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তাদের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয়। পাশাপাশি সিবিআই জমা দেয় নির্যাতিতার বাবার লেখা একটি চিঠি। যেটি তিনি সিবিআইকে লিখেছিলেন। জানা গিয়েছে, সিবিআইকে নির্যাতিতার বাবা ১২ সেপ্টেম্বর চিঠিটি লিখেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, নির্যাতিতার বাবা যে চিঠি দিয়েছেন সেই চিঠি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। কারণ এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিড রয়েছে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে তিনি কিছু নাম দিতে চান, যাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাঁদে বিরুদ্ধে তদন্ত করা প্রয়োজন। তবে তিনি সেই নাম প্রকাশ্যে দেবেন না। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সিবিআইকে জানানো হয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে যে চিঠিটি দেওয়া হবে, তা যেন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
পাশাপাশি আরও একটি বিষয় সুপ্রিম কোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টে চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, আরজি করে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতিতে আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডেও সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, তিনি সিবিআইকে আবেদন করছেন, যেন দুর্নীতির সঙ্গে তরুনী হত্যার যোগসূত্র খতিয়ে দেখে। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি আশ্বস্ত করে জানান, এই ধরনের ইঙ্গিত সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্টেও রয়েছে। তবে সিবিআই তরুণীর হত্যাকারীকে খোঁজার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তার পাশাপাশি এই বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে বলে সিবিআইয়ের রিপোর্টে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।