আরজি করে নির্যাতিতা তরুণী খুনের (RG Kar Doctor Murder Case) ঘটনায় টালা থানার অপসারিত ওসি গ্রেফতার হয়েছে। যার জেরে কলকাতা পুলিশের যে অস্বস্তি বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নির্যাতিতার পরিবারের (RG Kar Doctor Murder Case) তরফে বার বার অভিযোগ করা হয়েছিল, তাঁরা মেয়ের ময়নাতদন্ত আর একবার করতে চান। কিন্তু তারপরেও তড়িঘড়ি করে কেন দাহ (RG Kar Doctor Murder Case) করা হল, প্রশ্নের মুখে টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী এই প্রসঙ্গে সওয়াল করেন।
শনিবার সিবিআই আরজি কর কাণ্ডের তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার শিয়ালদহ আদালতের সেকেন্ড জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক পামেলা গুপ্তার এজলাসে তোলা হয়। শিয়ালদহ আদালতে অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলে সিবিআইয়ের আইনজীবী। সেখানে একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে অন্যতম ছিল, পুলিশ কেন তড়িঘড়ি করে দেহ দাহ করে। যেখানে পরিবারের তরফে বার বার দাবি করা হয়েছে, তাঁরা তাঁদের মেয়ের দেহ পুনরায় ময়নাতদন্ত করতে চায়। কিন্তু তারপরেও দেহটি দাহ কেন হল। সিবিআই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, তাঁরা বার বার দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য দাবি করেছিলেন। কিন্তু তাঁদেরকে গুরুত্ব না দিয়েই পুলিশ নির্যাতিতার দেহ দাহ করে দেয়।
এছাড়া FIR নিতে দেরি করা নিয়ে টালা থানার ওসির ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সকাল ১০টার সময় সময় খবর পায় টালা থানা। কিন্তু কেন পুলিশ ১১টার সময় কেন পৌঁছাল। খবর পাওয়া থেকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার ব্যবধান কেন ১ ঘণ্টা হল। সিডিআরে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে টালা থানার ওসির কথা বলার রেকর্ড রয়েছে। সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তিনি কী কথা বলছিলেন এই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি সিবিআই সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
আরজি কর কাণ্ডে বার বার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সেই অভিযোগের ওপর সিলমোহর দিয়েই টালা থানার অপসারিত ওসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।