আরজি করে (RG Kar) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালগুলোতে (RG Kar) নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট পাঁচ তারিখে পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করেছে। তারমধ্যেই হাসপাতালগুলোতে (RG Kar) নিরাপত্তার কাজ শেষ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক হয়। সেখানে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের (RG Kar) নিরাপত্তার কাজ দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৫ নভেম্বর আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে সমস্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সবাপ আগে আরজি করের নিরাপত্তা জাতীয় সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ‘রাত্রিরের সাথী’ অথবা নিরাপত্তার কাজ, রেস্টরুমের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে আগামী ২৫ অক্টোবর তারিখের মধ্যে। আরজি কর হাসপাতালের কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় ৩১ অক্টোবর তারিখের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে আজকের বৈঠকে।
ইতিমধ্যেই জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলা হাসপাতালগুলোতে কতটা কাজ হয়েছে, সেই বিষয়েই রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজের গতি বাড়াতে নির্দেশ দেন। শুক্রবারও এই বিষয়ে বৈঠক হয় প্রশাসনের বলে জানা গিয়েছে। তবে সেই কাজ যাতে চলতি মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সেই নির্দেশ পূর্ত দফতরকে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
জুনিয়র চিকিৎসকরা ১০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন। সেই নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, সাতটি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটির ক্ষেত্রে সময় লাগবে। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হাসপাতাল ও স্কুলে কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা যাবে না। এরপরেই রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের তুলে নেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে।