আরজি করে (RG Kar) দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন টিএমসিপি নেতা আশিষ পাণ্ডে। আরজি করে (RG Kar) সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন আশিষ পাণ্ডে। কিন্তু (RG Kar) আশিষ পাণ্ডের উত্থান আর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ শুনলে আপনি চমকে উঠবেন। জানা গিয়েছে, ৯ আগস্ট আরজি করে (RG Kar) সেমিনার হলে যেখানে তরুণী চিকিৎসকের দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে উপস্থিত ছিলেন আশিষ পাণ্ডে।
অভিযোগ, আরজি করে (RG Kar) যে দুর্নীতির ব়্যাকেট তৈরি হয়েছিল, তা সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বেই। সন্দীপ ঘোষের ডান হাত হিসেবে কাজ করতেন আশিষ পাণ্ডে। এই আশিষদের সাহায্যে সন্দীপ ঘোষ নিজের দুর্নীতির ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। সেই ব্যবস্থার বিরোধিতায় ২০২৩ সালে চিকিৎসক পড়ুয়াদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে আরজি কর। সন্দীপ ঘোষের পাল্টা সমর্থনে নামেন আশিষ পাণ্ডেরা। ছাত্র আন্দোলনের ধাক্কায় সন্দীপ ঘোষের বদলি হয়ে। বদলি হওয়ার এক মাসের মধ্যে সন্দীপ ঘোষ আবার আরজি করে ফিরে আসেন। সন্দীপ ঘোষের ক্ষমতায় ফেরার পর আশিষ পাণ্ডেদের আস্ফালন আগের থেকে অনেকটা বেড়ে যায়। জানা যায়, আরজি করের হস্টেলে ২০ জনকে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখা হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন আশিষ পাণ্ডে। অভিযোগ, প্রায়ই আশিষ পাণ্ডের মুখে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি শোনা যেত।
চিকিৎসক নীলাঞ্জন ঘোষ একসময় আশিষ পাণ্ডের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি বলেন, সন্দীপ ঘোষের অফিস করে সবার প্রবেশ অধিকার ছিল না। কিন্তু আশিষ পাণ্ডের সেখানে অবাধ যাতায়াত ছিল। শুধু তাই নয়, আশিষ পাণ্ডে বেশিরভাগ সময় সেখানেই বসে থাকতেন। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, আরজি করে সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম আশিষ পাণ্ডে। আইএমএস হস্টেলের পড়ুয়া আশিসের অবাধ প্রবেশ ছিল মেডিক্যাল কলেজের সর্বত্র। এমনকী হাসপাতাল বা হস্টেলের বিভিন্ন এলাকায় মদের আসর বসতো। তার নেতৃত্বে থাকতেন আশিষ পাণ্ডে। প্রতিবাদ করা যেত না। সিনিয়র চিকিৎসকদের কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁদের উত্তরবঙ্গে ট্রান্সফার করে দেওয়ার হুমকি দিতেন আশিষ পাণ্ডে।
তিলোত্তমার খুন-ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর অন্য মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়ারা আরজি করের অ্যানাটমি বিভাগে অডিটোরিয়ামে জিবি ডেকেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অডিটোরিয়ামের আলো নিভিয়ে আশিসের নেতৃত্বেই অন্য মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের উপরে চড়াও হয়েছিল সন্দীপ ঘোষের বাহিনী বলে অভিযোগ উঠেছে।