টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের (RG Kar) পলিগ্রাফ করতে চলেছে সিবিআই। আজকে টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষকে (RG Kar) আদালতে তোলা হবে। তখনই সিবিআইয়ের তরফে আদালতে অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্টের কথা জানানো হবে। পাশাপাশি আদালতে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে (RG Kar) আরও পাঁচদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন করবে সিবিআই বলে জানা গিয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar) এর আগে সন্দীপ ঘোষ-সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে। জানা গিয়েছে, টালা থানার প্রাক্তন ওসির (RG Kar) কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে যে উত্তর পাওয়া গিয়েছে, সেখানে বেশ কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে। সেই কারণেই এই পরীক্ষা করা হবে। অন্যদিকে, টালা থানার সিসিটিভির ফুটেজ ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। সিএফএসএলে যে সমস্ত ফুটেজ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, আগামী ১-২ দিনের মধ্যে তার রিপোর্ট আসবে। সিবিআই জানিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে (RG Kar) ফুটেজ সংক্রান্ত বিশেষ কিছু জিজ্ঞাসা করার রয়েছে। এপাশে আরজি করের (RG Kar) সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা শেষ। সেখানে বেশ কিছু সন্দেহভাজনকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যে সব (RG Kar) সন্দেহভাজনকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে, তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের পর এবার শিয়াদহ আদালতে সিবিআই স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল। সুপ্রিম কোর্টের মতো শিয়ালদহ আদালতেও মুখবন্ধ খামে স্টেটাস রিপোর্ট সিবিআই জমা দেয়।
মঙ্গলবার শুনানির একেবারেই শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তাদের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয়। পাশাপাশি সিবিআই জমা দেয় নির্যাতিতার বাবার লেখা একটি চিঠি। যেটি তিনি সিবিআইকে লিখেছিলেন। জানা গিয়েছে, সিবিআইকে নির্যাতিতার বাবা ১২ সেপ্টেম্বর চিঠিটি লিখেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, নির্যাতিতার বাবা যে চিঠি দিয়েছেন সেই চিঠি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। কারণ এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিড রয়েছে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে তিনি কিছু নাম দিতে চান, যাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাঁদে বিরুদ্ধে তদন্ত করা প্রয়োজন। তবে তিনি সেই নাম প্রকাশ্যে দেবেন না। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সিবিআইকে জানানো হয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে যে চিঠিটি দেওয়া হবে, তা যেন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।