আরজি করের (RG Kar) এমারজেন্সিতে দাগ লাগা গ্লাভস বিতর্কের নয়া মোড়। সোমবার ওই গ্লাভসগুলো (RG Kar) পরীক্ষার রিপোর্ট জমা পড়েছে। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, (RG Kar) গ্লাভসে রক্তের কোনও নমুনা পাওয়া যায়নি। তবে যে দাগ পাওয়া গিয়েছে, সেগুলো রাসায়নিক থেকে হতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
১০ অক্টোবর সকালে আরজি করে একজন HIV পজিটিভ রোগী আসেন। তাঁর কাছে এগিয়ে যান এক চিকিৎসক। তিনি চিকিৎসা করার জন্য স্টোর থেকে গ্লাভস নিতে যান। সিলড প্যাকেট থেকে গ্লাভস বের করতে গিয়ে দেখেন গ্লাভসে দাগ লেগে রয়েছে। ওই চিকিৎসকের দাবি, একটি গ্লাভসে দাগ রয়েছে বলে ভেবে অন্য গ্লাভস বের করেন। কিন্তু দেখা যায়, প্রত্যেকটি গ্লাভসেই দাগ রয়েছে। ওই দাগ রক্তের বলে চিকিৎসক ও নার্সরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। নতুন করে চিকিৎসক ও রোগী মহলে উত্তেজনা ছড়ায়।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে চিকিৎসক মহল। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। গ্লাভসগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট সোমবার জমা পড়েছে। তবে গ্লাভসে লাল দাগে কোনও রক্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, অন্য কোনও রাসায়নিক দাগ লেগে থাকতে পারে। কোনও রাসায়নিক, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়নি রিপোর্টে। তবে একই সঙ্গে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বাক্সের গায়ে যে ব্যাচ নম্বর লেখা ছিল, তার সঙ্গে একাধিক গ্লাভসের প্যাকেটের ব্যাচ নম্বরের মিল ছিল না। কী করে একই বাক্সে একাধিক ব্যাচ নম্বরের গ্লাভস এল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
অন্যদিকে, আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা পাল্টা ৮ দফা দাবি নিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে। থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছে। প্রসঙ্গত, আরজি কর কর্তৃপক্ষ ৪৭ জুনিয়র চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছিল থ্রেট কালচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে। হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁরা ফের কাজে যোগ দিয়েছেন।