আর জি কর মেডিকেল কলেজে মহিলা ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা দেশ তোলপাড়। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তদন্ত করছে সিবিআই। হাসপাতালের অধ্যক্ষকে গত আট দিন ধরে জেরা করে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই আপাতত হেফাজতে। পাশাপাশি রাস্তা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ন্যায়ের দাবিতে আন্দোলন। তবে কয়েকটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী উভয় হিসাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে দায়বদ্ধ বলে মনে করছেন অনেকে। গুরুতর বিষয়টিকে সরাসরি সমাধান করার পরিবর্তে, মমতা তাঁর নিজের প্রশাসনের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন, যা সমালোচনার জন্ম দেয়। বিশেষত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর ১৪ বছরের মেয়াদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে তাঁর আগের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)-কে তদন্তের জন্য তাঁর আহ্বান পরস্পরবিরোধী বলে মনে করা হচ্ছে।
সর্ব ভারতীয় সংবাদ সংস্থা ‘ওয়ান ইন্ডিয়া’র একটি ভিডিও দেওয়া হল আপনাদের জন্য।
বেশ কয়েকটি উত্তরহীন প্রশ্ন এখনও রয়ে গেছে, যা পুরো তদন্তের উপর ছায়া ফেলেছে। কেন নির্যাতিতার দেহ অবিলম্বে তার বাবা-মাকে দেখানো হয়নি, এবং কে বিলম্বে দাহ করার আদেশ দিয়েছিল? অপরাধস্থলে এমন কী ঘটছিল যা এই ধরনের গোপনীয়তার নিশ্চয়তা দেয়? যে বিভাগে অপরাধটি ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে কেন হঠাৎ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করা হয়, সম্ভাব্য অপরাধের দৃশ্যে কারচুপি করা হয়েছিল? গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন সঞ্জয় রাইকে নির্যাতিতার বাবা-মা সহ অনেকেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কারণ বলে মনে করেন।
আরজি করের ঘটনায় ‘মেডিসিন মাফিয়া’ জড়িত থাকার গুঞ্জন রয়েছে। পেছনে রাজনৈতিক মদত আছে বলেই অনেকের ধারনা। কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অনীহা, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং মামলাটি ভুলভাবে পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে, যা সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তোলে।