ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে আরজি কর হাসপাতাল(Rg kar medical college) কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এবার ঘটনার দিন সিজারলিস্ট তৈরি নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন নির্যাতিতা ডাক্তারি ছাত্রীর মা।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতার মা বলেন, “ওই লাল টি-শার্ট পরা সন্দেহজনক ছেলেটি কে? সেদিন যখন সিজার লিস্ট তৈরি হচ্ছিল, তখন লাল টি-শার্ট পরা একটি ছেলেকে আমি বারে বারে উঁকিঝুঁকি মারতে দেখেছি। ও কিছু একটা খুঁজছিল। সন্দেহজনক অবস্থায় দেখেছিলাম। পরে জানতে পারি, ওই ছেলেটি নাকি হাসপাতালের গ্রুপ ডির স্টাফ।”নির্যাতিতার মায়ের কথায়, “হাসপাতালের মধ্য অন ডিউটিতে থাকা একজন চিকিৎসককে খুন করা হল। অথচ সেখানে প্রমাণ রক্ষার বদলে তা লোপাটের নানা অভিযোগ সামনে আসছে। সুপ্রিম কোর্টও তো ক্রাইম সিন সুরক্ষিত না রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।”
অগস্ট পেরিয়ে সেপ্টেম্বর। আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় অতিক্রান্ত তিন তিনটি সপ্তাহ। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নির্যাতিতার পরিবার থেকে আন্দোলনকারীরা। সন্তান হারা মায়ের মনে সংশয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে, সুবিচার মিলবে তো! তাঁর কথায়, “এক একটা করে দিন চলে যাচ্ছে। জানি না, এভাবে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় তাড়াহুড়ো করে দেহ সৎকার, ক্রাইম সিনে প্রচুর মানুষের ভিড়, বাড়ির লোককে ফোনে প্রথমে অসুস্থ, পরে গুরুত্র অসুস্থ এবং শেষে আত্মহত্যার কথা বলা, চাদর বিতর্ক-সহ একাধিক কারণে তদন্তকারীদের স্ক্যানারে কর্তৃপক্ষ। এমনকী পুলিশকে ২৫ মিনিট পরে খবর দেওয়া নিয়েও তদন্তকারীদের স্ক্যানারে কর্তৃপক্ষ।