লালবাজার অভিযানে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে (RG Kar Protest) পুলিশ কমিশানারের সঙ্গে সাক্ষাতে কোনও রকম মধ্যস্থতা হয়নি। সাংবাদিক সম্মেলন করে সাফ জানিয়ে দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে কিঞ্জল নন্দ বলেন, “লালবাজার অভিযান হোক বা বিনীত গোয়েলের সঙ্গে সাক্ষাৎ, কোনও ক্ষেত্রেই মধ্যস্থতা হয়নি। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারও কোনও মধ্যস্থতা আগে এখানে ছিল না। ভবিষ্যতেও এখানে থাকবে না। এটাই আমাদের স্ট্যান্ড।” কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, আন্দোলনরত চার চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি দেখা করেছিলেন।
প্রায় ২২ ঘণ্টা অবস্থানের (RG Kar Protest) পর পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল। জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁকে স্মারকলিপি দেন। এরপরেই কুণাল ঘোষ সমাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে দাবি করা হয়, জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরেই আন্দোলনরত চার চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। মধ্য়স্থতাকারীর ভূমিকাই তিনি ছিলেন। কুণাল ঘোষের এই দাবিকে কার্যত মিথ্যা বললেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ” তবে, আজ সকালে আন্দোলনকারীদের তরফে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের তরফে বলা হয় নির্দিষ্ট কিছু কারণে লালবাজারের ধরণা এগোন ঠিক হবে না। তাঁরা আজই এখনই নগরপাল ইস্তফা না দিলে উঠবেন না, এই দাবিতে অনড় থাকবেন না। পরে ইস্তফা দিলেও হবে। আজ শুধু নগরপালের হাতে স্মারকলিপি দিয়ে দেখা করতে চান। তারপর রাজপথ থেকে ধর্ণা তুলে নেবেন। পরবর্তী আন্দোলন চলবে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যদি বিষয়টি বিবেচনা করেন, তাহলে ব্যারিকেড থেকে একটু এগিয়ে অবস্থান এবং তারপর স্মারকলিপিতেই কর্মসূচি আপাতত শেষ হবে। তবে আন্দোলন চলবে।এরপরের ঘটনাক্রম আমি লিখছি না।”
কুণাল ঘোষের এই মন্তব্য প্রকাশ পেতেই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। আরজি করে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা এই প্রেক্ষিতেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে বলা হয়, “আন্দোলনের মূল সুর অরাজনৈতিক। সাংবাদমাধ্যমে যা উঠে এসেছে, তা আন্দোলনের মূল সুর নয়। এক সাংবাদমাধ্যমে আমাদের ছবি দেখিয়ে দাবি করা হচ্ছে, আমরা নাকি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি হিসাবে মধ্যস্থতা করতে এসেছি। এটা একেবারেই মিথ্যা।” আন্দোলনকারী এক চিকিৎসক বলেন, “গত সাড়ে তিন বছর ধরে সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর বাহিনী আমাদের ওপর কী অত্যাচার করেছিল, সেটাই জানাতে আমরা ওই সাংবাদমাধ্যমের অফিসে গিয়েছিলাম। তাঁরাই আমাদের আমন্ত্রণ করেছিলেন। সেখানে কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা হয়। তাঁর সঙ্গে দুই থেকে তিন মিনিট কথা হয়েছিল। লালবাজার অভিযান নিয়ে তাঁর সঙ্গে আমরা কোনও আলোচনা করিনি। তাঁর সঙ্গে আমাদের ছবি না জানিয়ে তোলা হয়েছে। আমাদের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”