টালা থানাতেই খুনের (RG Kar) তথ্যপ্রমাণ লোপাটে ভুয়ো নথি তৈরির ছক? সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা বিস্ফোরক দাবি (RG Kar) করলেন শিয়ালদহ আদালতে। শিয়ালদহ আদালতে মুখ বন্ধ খামে সিবিআই স্টেটাস রিপোর্ট (RG Kar) দিয়েছে। রহস্য সেখানেই রয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে বুধবার শিয়ালদহ আদালতে বলা হয়, ফরেন্সিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা (RG Kar) সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি সিবিআই অভিযোগ করেছেন, “ টালা থানাতেই (RG Kar) তথ্য-প্রমাণে গরমিল করা হয়েছে। মিথ্যে কিছু তথ্য যুক্ত করা হয়েছে বা বদল করা হয়েছে।”
বুধবার শিয়ালদহ আদালতে আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার অপসারিত ওসির জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও ধৃত ওসির জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। আজ আদালতে সিবিআই যে রিমান্ড জমা দিয়েছে সেখানে পরিষ্কার করে বলা হয়, হেফাজতে থাকাকালীন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করে তাঁরা নতুন তথ্য পেয়েছেন। সেই বয়ান অনুযায়ী টালা থানার মধ্যেই মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করা হয়েছে বা রিপোর্ট বদল করা হয়েছে। টালা থানার ফুটেজের সিএইএসএলের রিপোর্ট আসা বাকি আছে। সেই রিপোর্ট এলে তাঁরা ফের এই দুই জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা বলে সিবিআই আধিকারিকরা।
এছাড়াও সিবিআইয়ের তরফে বেশ কিছু সন্দেহভাজন নম্বরের কথা বলা হয়েছে। সেই বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই দুই ব্যক্তির মোবাইল ফোনের সম্পূর্ণ তথ্য তারা পেতে চায়। বেশ কিছু নম্বরে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির কথা হয়েছে। আদালতে এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, সিবিআইয়ের হাতে কোনও জাদুকাঠি নেই। সিবিআই তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ করছে।
অন্যদিকে, আরজি করের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যপাক অপূর্ব বিশ্বাসকে টানা চার দিন সিবিআই তলব করে সিজিও কমপ্লেক্সে। পাশাপাশি চিকিৎসক সুশান্ত রায়কেও সিবিআই তলব করেছে। অপূর্ব বিশ্বাসের পাশাপাশি আরজি করের দুই ডোমকেও এদিন সিবিআই তলব করে বলে জানা গিয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক ডোম বলেন, তিনি ময়নাতদন্তের সময় ছিলেন না। তাঁর ডেস্ক কাজ ছিল।