আরজি করের (RG Kar) চেস্ট বিভাগের সেমিনার রুমে যেদিন নির্যাতিতা তরুণীর দেহ পাওয়া গিয়েছিল, তার পরের দিনই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা পুলিশের কাছে সিভিক ভলেন্টিয়ার (RG Kar) নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন। এমনকী তিনি নিজের(RG Kar) ফাঁসি চেয়েছিলেন। কিন্তু এবার তাঁর মুখে উল্টো বুলি। এদিন শুনানির সময় বিচারপতিকে (RG Kar)বলেন, স্যর, আমার কিছু বলার রয়েছে(RG Kar)। নাহলে এরা আমাকে দোষী করে দেবে।
সোমবার সিবিআইয়ের তরফে প্রথম চার্জশিট পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয় আরজি করে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ ও খুনের ক্ষেত্রে একজনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তিনি হলেন সঞ্জয় রায়। সেই প্রেক্ষিতেই সঞ্জয় রায়কে মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। সেখানে বিচারককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “স্যর আমার কিছু বলার আছে। আমি কিছু বলতে চাই।” বিচারক তাঁকে বলার অনুমতি দেন। সেই সময় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় বলেন, আমার কিছু বলার রয়েছে। না হলে আমাকে দোষী করে দেবে। বিচারক বলেন, “নিশ্চয় আপনার বলার সুযোগ রয়েছে। আপনার বলার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু শোনা সম্ভব নয়। আপনার আইনজীবী জেলে গিয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলবেন। তখন আপনি তাঁকে সমস্ত কথা জানাবেন।” সেই সময় সঞ্জয় রায় বলেন, “স্যর আমি কিছুই করিনি। ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না।”
সিবিআই তাদের চার্জশিটে ধর্ষণ ও খুনের জন্য একমাত্র সঞ্জয় রায়কে অভিযুক্ত করে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, ঘটনার সময় সঞ্জয় রায় মত্ত অবস্থায় ছিলেন। সেই সময় তাঁর পক্ষে একা এই কাজ করা সম্ভব নয়। সিবিআইয়ের চার্জশিটের ওপর সহমত পোষন করতে পারেনি নার্সরাও। ষষ্ঠীর দিন, অর্থাৎ বুধবার করুণাময়ী থেকে সিজিও কমপ্লেক্স অবধি মিছিল করে যাবেন চিকিৎসক ও নার্সদের তিনটি সংগঠন। সিবিআই তাড়াহুড়ো করে চার্জশিট দিয়েছে। তদন্ত এখনও অনেক বাকি বলেই তাঁরা মনে করছেন।