আরজি কাণ্ডের (RG Kar)প্রতিবাদে চিকিৎসকরা একটি মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। কলেজ স্কোয়ার থেকে সেই মিছিল ছিল রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত। চিকিৎসকরা (RG Kar) এই মিছিলের ডাক দিলেও বহু সাধারণ মানুষ এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কলকাতার রাজপথ (RG Kar) কার্যত জনপ্লাবনের আকার ধারণ করেছিল। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা (RG Kar) বলেন, শুধু আজকে নয়, কালকেও জনপ্লাবনে ভাসবে কলকাতা। প্রসঙ্গত মহালয়ার দিন জুনিয়র চিকিৎসক মহামিছিলের ডাক দিয়েছিলেন।
সেই মিছিল থেকে চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী (RG Kar) বলেন, “এটা প্রতিবাদের জনপ্লাবন। আজকে শুধু নয় , এটা কালকেও কলকাতা ভাসবে। যতক্ষণ না বিচার হবে আমরা বুক দিয়ে মহালয়া করব না। প্রশাসনের ভাববার সময় এসেছে জুড়ি-তাপ্পি দিয়ে নয়, সদর্থক সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে যত ক্ষোভ-বিক্ষোভ সেগুলো নিরসন করা। তানাহলে কিন্তু হাসপাতাল নয় রাজপথ অগ্নিকুণ্ড হয়ে যাবে। সেটা খুব পরিষ্কার এবং আগামীদিনগুলো শাসকের জন্য খুব মধুর হবে না, আজকের রাজপথ বুঝিয়ে দিচ্ছে।”
অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা ১০ দফা দাবি নিয়ে নতুন করে কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছেন। তবে এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও একবার ভাবার জন্য একাধিক সিনিয়র চিকিৎসকরা অনুরোধ করেছেন। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “আমরা সিনিয়র চিকিৎসকরা যেমন কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার আন্দোলনে আছি। জুনিয়র ডাক্তারদের পরামর্শ দিচ্ছি, কর্মবিরতি ওঁরা একটা পর্যায় করেছেন। সেই সময় সিনিয়র চিকিৎসকরা সেটার ঘাটতি পূরণ করার জন্য বাড়তি কাজ করেছেন। রাজ্যের গরিব মানুষ সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। সরকার কৌশল নিচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রাজ্যের গরিব মানুষকে ক্ষেপিয়ে দেওয়া। সেই সময় আমাদেরও একটু কৌশল করা দরকার যে, কর্মবিরতির মতো পদক্ষেপ না করে, কাজ করে কীভাবে রাস্তার আন্দোলনকে তীব্রতর করা যায়।”