আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) দিন অভিক দে চার-পাঁচ বার ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারিক চিকিৎসক শ্যামাপ্রসাদ দাস। একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ওই ঘটনার (RG Kar) দিন তিনি অভিক দে চার-পাঁচবার ফোন করেছিলাম। প্রয়োজন পড়লে সিবিআইয়ের কাছে যেতে প্রস্তুত। সিবিআইয়ের আধিকারিকদের আমি সমস্ত (RG Kar) কথা জানাতে প্রস্তুত।
৯ আগস্ট আরজি করের (RG Kar) সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেদিনের (RG Kar) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানেই (RG Kar) অভিক দে-কে দেখতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি দেখতে পাওয়া যায় আরজি করের তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে। এই দুই চিকিৎসককে ইতিমধ্যে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারিক চিকিৎসক শ্যামাপ্রসাদ দাস মুখ খোলেন। তিনি কার্যত স্বীকার করে নেন, সেদিন অভিক দেকে চার পাঁচবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু কেন ফোন করেছিলেন?
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্যামাপ্রসাদ দাস বলেন, “ঘটনার দিন অভীক দেকে ফোন করেছিলাম। আমি জানতে চেয়েছিলাম, ঘটনাটি কী ঘটছে? এত বয়স হয়েছে, এরকম ঘটনা তো কোনওদিন শুনিনি। অবিশ্বাস্য একটা ঘটনা। স্বাভাবিকভাবে আমার একটা কৌতূহল ছিল। কে করল? কী করল? ওখানে কী গন্ডগোল হচ্ছে? ময়নাতদন্ত ঠিকমতো হচ্ছে কি না? ওখানে দেখাশোনা কে কে করছে? পুলিশ ঠিকমতো কাজ করছে কি না? সেই খবরগুলো অভীকের কাছ থেকে নিয়েছি। অভিক সেখানে ছিল।”
চিকিৎসক শ্যামাপ্রসাদ দাস বলেন, সেই দিন রাতেও অভিক দের সঙ্গে কথা হয়। কেউ ধরা পড়েছে কি না সেটাই তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তবে তিনি জানিয়ে দেন, তিনি বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে চিনতেন না। প্রসঙ্গত, অভিক দে এসএসকেএমের জুনিয়র চিকিৎসক। সেদিন তিনি আরজি করের সেমিনার রুমে কী করছিলেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অন্যদিকে, থ্রেট কালাচার চালানোর অভিযোগ উঠছে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভিক দের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে সিবিআই এই দুই চিকিৎসককে দুবার তলব করেছে আরজি কর কাণ্ডের জন্য। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভবন সাময়িকভাবে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভিক দে-কে সাসপেন্ড করে দিয়েছে।