বুধবারও আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সিবিআইয়ের তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন আরজি করের (RG Kar) ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস। এই নিয়ে চার দিন অপূর্ব বিশ্বাসকে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়। তবে বুধবার অপূর্ব বিশ্বাসের পাশাপাশি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন আরজি করের (RG Kar) দুই জন ডোম। এর আগে লাশকাটা ঘরে একাধিক কার্যকলাপ হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে কি সেই অভিযোগকে প্রাধান্য দিচ্ছে সিবিআই।
৯ আগস্ট আরজি করের (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের দেহ ময়নাতদন্ত করেন তিন সদস্যের একটি দল। সেখানে (RG Kar) ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস ছিলেন। বাকি দুই সদস্য বাকি দুই সদস্য রীনা দাস ও মলি বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার অপূর্ব বিশ্বাসের পাশাপাশি মর্গ অ্যাসিস্টেন্টদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআই ডেকে পাঠায়। তবে মর্গেই কি সমস্ত জটিলতার উত্তর রয়েছে বলে সিবিআই মনে করছে? সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময় এক মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্ট বলেন, “আমি ময়নাতদন্তের সময় ছিলাম না। আমার টেবিল ওয়ার্ক। আমি পেপারস ওয়ার্ক করি।”
বার বার সিবিআই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছে। শুধু তাই নয়, সিবিআই সুপ্রিম কোর্টের স্টেটাস রিপোর্টেও এই কথা উল্লেখ করে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায় প্রধান বিচারপতির কথায়। কিন্তু কেন আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে খুন করা হল? এই খুনের সঙ্গে সরাসরি কারা যুক্ত, সেই বিষয়ে কোনও প্রমাণ এখনও সিবিআইয়ের হাতে আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। তবে বর্তমানে সিবিআইয়ের তদন্ত অনেকটা বিস্তৃত হয়েছে তা জিজ্ঞাসাবাদ থেকে স্পষ্ট।
অন্যদিকে, আরজি করের তরুণী চিকিৎসক হত্যা কাণ্ডের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত সন্দীপ ঘোষ সেই বিষয়ে জানতে নারকো টেস্ট করতে আগ্রহী হয়েছে সিবিআই। অন্যদিকে পলিগ্রাফ টেস্ট করা চায় টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। যদিও মৌখিক ভাবে সন্দীপ ও অভিজিতের কাছ থেকে সম্মতি পাওয়া যায়নি। আরজি কর কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়েরও নারকো টেস্ট করতে চেয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সঞ্জয় রায়ও সেই বিষয়ে সম্মত হয়নি।