বিধানসভায় পৌঁছালেন আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার বাবা-মা। এদিন তাঁরা সজল ঘোষের সঙ্গে বিধানসভায় আসেন (RG Kar)। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা-মার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে মঙ্গলবার ১২টা নাগাদ সজল ঘোষের সঙ্গে দুটি গাড়ি বিধানসভার সামনে আসে। প্রথমে তাঁরা প্রধান ফটকের সামনে আসেন। পরে তাঁরা অন্য গেট দিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করেন। সজল ঘোষের একটি গাড়িতে তিনি নিজে ছিলেন। অন্য একটি গাড়িতে আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা ছিলেন। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন দু’জনেই। শুভেন্দু ছাড়া সেখানে বিজেপির অন্য বিধায়করাও ছিলেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমার পাশে সবাই যে ভাবে দাঁড়াচ্ছে, আগামী দিনে আপনাদেরও আমার পাশে চাই। আমার মেয়েটা কী এমন অপরাধ করল, তাঁকে এমন নির্ম ভাবে মারা হল।” কান্নাভেজা গলায় তিনি বলেন, “আজও জানতে পারলাম না, সেই রাতে আমার মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছিল।” এদিন নির্যাতিতার বাবাও কেঁদে ফেলেন। তাঁর চোখের জল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুছিয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে।
এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ ভাবে, আইন এবং গণতন্ত্র মেনে বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং স্বার্থ ছাড়াই প্রধান বিরোধী দলের সকল বিধায়কেরা ধর্নায় বসবেন। দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচার যাতে হয়, সেই দাবিও জানাবেন তাঁরা।
আরজি কর কাণ্ডের তিন মাস পেরিয়ে গেছে। এখনও তদন্ত চলছে। সিবিআই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ হত্যার ঘটনায় সঞ্জয় রায়ের বাইরে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আরজি কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের জন্য তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। তবে সিবিআইয়ের তদন্তে জুনিয়র চিকিৎসক ও অন্যান্য চিকিৎসকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।