আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদে ও ১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন করছেন। অন্যদিকে, সুবিচারের দাবিতে (RG Kar) নাগরিক সমাজ শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক দিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ন্যায় বিচার (RG Kar) যাত্রা শুরু হবে। এই মিছিলে আরজি করে নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা-মা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। পুরো মিছিলে না থাকলেও সোদপুরে তাঁরা থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে অবস্থান বিক্ষোভ দেখানো হবে। সেখানে চিকিৎসকরা সামিল হবেন বলে জানা গিয়েছে। সোমবার পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে। ১০ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। বরাবরই আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে রয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সমস্যা সমাধানের বার বার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। এর আগে চিকিৎসকদের ডাকা একাধিক মিছিলে তাঁরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা মিছিল শেষে নিজেদের দুঃখের কথা, চাপা কষ্টের কথা উজাড় করে দিয়েছিলেন। রাত দখল কর্মসূচিতে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। পুজোর পাঁচদিন বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছিলেন নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকদের বাবা-মা। একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জুনিয়র চিকিৎসক, সিনিয়র চিকিৎসক, সাধারণ মানুষ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন করছেন। কিন্তু সরকারের তরফে এখনও কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখতে পাওয়া যায়নি বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা অভিযোগ করেন। এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা শুক্রবার রাতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, “আমরা ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার্স ডক্টরস ফ্রন্ট-সহ সমস্ত সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে, সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা দিচ্ছি। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের সব কটি দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসতে হবে। সব কটা দাবি মেনে নিতে হবে। আশা রাখছি, মঙ্গলবারের পর যে কর্মসূচির কথা আমরা বলছি, সে দিকে এগোতে হবে না। দাবি পূরণ না হলে আগামী মঙ্গলবার আমরা সমস্ত জুনিয়র ডাক্তার সিনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বিকভাবে ধর্মঘট ডাকব।” যদি সরকারি ও বেসরকারিভাবে সার্বিকভাবে ধর্মঘট ডাকা হয়, সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিসেবা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।