আরজি কর কাণ্ড (RG Kar) প্রকাশ্যে আসতেই থ্রেট কালচারের একটা অভিযোগ বার বার সামনে আসছে। শুধু আরজি কর (RG Kar) নয়, রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে থ্রেট কালচার প্রকাশ্যে এসেছে। বার বার একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। আরজি করে (RG Kar) থ্রেট কালকাচারের বিরুদ্ধে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে(RG Kar) ৫৯ জনের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে ৪০ জনের বিরুদ্ধে (RG Kar) অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
বার বার থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে আরজি করের অভ্যন্তরে। সেই থ্রেট কালচারে জন্য নির্যাতিতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। এই পরিস্থিতি আরজি করের অভ্যন্তরে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। শুনানি হয় সেই কমিটিতে। অভিযুক্তদেরও বয়ান নেওয়া হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট মঙ্গলবার আরজি করের অধ্যক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, ৪০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ১৪ জনের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগের আংশিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ১৪ জনের বিরুদ্ধে আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। অভিযুক্তরা মূলত ইন্টার্ন, জুনিয়র চিকিৎসক। এমনকী অভিযুক্তদের তালিকায় এমবিবিএস পড়ুয়ার নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
থ্রেট কালচারে নাম উঠে এসেছে আরজি করের ১৩ জন চিকিৎসকের। এই ১৩ জন চিকিৎসকের মধ্যে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ দেবাশিষ সোম, অপূর্ব বিশ্বাসের নাম রয়েছে। সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে আরজি করের অভ্যন্তরে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হতো। তদন্ত কমিটির তরফে বলা হয়েছে, ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে আলাদা কমিটির প্রয়োজন।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে থ্রেট কালচারের প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানে আইনজীবীরা সওয়াল করছেন, যেখানে তাঁদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা কীভাবে এখনও নিজেদের পদে বসতে পারেন। অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে রাজ্যকে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেয়।