মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে রিঙ্গার ল্যাকটেট (আর এল) স্যালাইনের ব্যবহারে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য (Calcutta High Court)। আরও তিনজন প্রসূতির অবস্থা অশঙ্কাজনক (Calcutta High court)। ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি. এস. শিবজ্ঞানম বৃহস্পতিবার প্রথম মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন। জনস্বার্থ মামলা দুটি দায়ের করেছেন বিজয় সিংহল এবং কৌস্তভ বাগচী। এই স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে কর্নাটক সরকার সংস্থাটির স্যালাইন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ওই রাজ্যে একই স্যালাইনের ব্যবহারে চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। সেসময় কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডিজিসিআই-কে চিঠি লিখে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর এই স্যালাইন নেওয়ার পরেই এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। বাকি তিনজনের অবস্থা এখনও গুরুতর। তাদের পেট ফুলে যাচ্ছে, মুখে কথা নেই। এসএসকেএম হাসপাতালে তারা এখন চিকিৎসাধীন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কেন কর্নাটকে নিষিদ্ধ স্যালাইন এখনও সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার করছে, তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবার গাফিলতি নিয়ে নানা মহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জনস্বার্থ মামলার শুনানি ঘিরে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা। মেদিনীপুরের ঘটনা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অদক্ষতা এবং অব্যবস্থার এক গভীর চিত্র তুলে ধরেছে।
প্রসঙ্গত, তিনজন প্রসূতির মধ্যে দু’জন বর্তমানে এসএসকেএমের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) এবং একজন আইটিইউতে চিকিৎসাধীন। সিসিইউ-তে থাকা এক প্রসূতির অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। সোমবার এক রোগীর ডায়ালাইসিস করা হতে পারে। হিমোগ্লোবিন, আরবিসি-সহ রক্তের বিস্তারিত পরীক্ষা এবং দেহে সংক্রমণের মাত্রা নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এসএসকেএমে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডে সিসিইউ, অ্যানাস্থেসিস্ট, নেফ্রোলজি, স্ত্রীরোগ, এবং মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা রয়েছেন। সোমবার বোর্ডের বৈঠকে রোগীদের পরবর্তী চিকিৎসা পরিকল্পনা নির্ধারণ হবে।