নিউটাউনে আবারও মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা (Road accident)। সোমবার সকালে ইকোপার্ক থানা এলাকায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় (Road accident) মৃত্যু হল এক স্কুটি চালক যুবতীর। আকাঙ্ক্ষা মোড় থেকে ইকোপার্ক হয়ে কলকাতা যাওয়ার (Road accident) পথে স্কুটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবতীর নাম সুচিত্রা দেবনাথ (৩৩)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে। আজ সকালে তিনি ইলেকট্রিক স্কুটি নিয়ে বিশ্ব বাংলা গেট থেকে চিনার পার্কের দিকে যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, দ্রুত গতিতে স্কুটি চালানোর সময় ইকোপার্কের দুই নম্বর গেটের কাছে স্কুটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুচিত্রা সজোরে ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন। ধাক্কার পর তিনি ছিটকে পড়েন এবং গুরুতর জখম হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে, সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পিছনে বেপরোয়া গতিকেই দায়ী করা হচ্ছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুটির গতিবেগ কত ছিল এবং দুর্ঘটনার সময় সুচিত্রার মাথায় হেলমেট ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত গতিতে স্কুটি চালাতে গিয়ে কেন নিয়ন্ত্রণ হারালেন, সেটাও তদন্তের বিষয়।
নিউটাউনের রাস্তা বারবার পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়ে উঠছে। নতুন বছর পড়তেই নিউটাউন এবং সেক্টর ফাইভ এলাকায় একাধিক পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সাপুরজি এলাকায় এক তরুণীর মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু। গৌরাঙ্গনগরে মোটরবাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। নদিয়ার বাসিন্দা ম্যাকনালি দাস ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে প্রাণ হারান। নিউটাউনে একের পর এক পথ দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তবু দুর্ঘটনা কমানো যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
বারবার ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলির মূল কারণ হিসেবে বেপরোয়া গতিকে দায়ী করা হলেও রাস্তার নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির অভাবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তদন্ত চলছে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে নিউটাউনের পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার। এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।