সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar Pakistan Visit)। বৈঠকটি চলতি বছরের ১৫-১৬ অক্টোবর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে এস জয়শঙ্কর ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ কথা জানিয়েছেন।
সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে রাষ্ট্র প্রধানদের বৈঠকের ২৩ তম অধিবেশন পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ১৫-১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজক হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar Pakistan Visit) আসন্ন এসসিও সম্মেলনে অংশ নিতে পাকিস্তান সফর করবেন। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, এসসিও বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন জয়শঙ্কর। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar Pakistan Visit) বর্তমানে শ্রীলঙ্কা সফরে রয়েছেন। সেখানে তিনি শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি ও বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দেখা করতে তিন দিনের সফরে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই সফরকে কি পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হিসাবে দেখা উচিত? বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, বিদেশমন্ত্রীর ইসলামাবাদ সফর এসসিও নিয়ে। এটা নিয়ে খুব বেশি ভাববেন না। এসসিও সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য পাকিস্তান ভারতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
ভারত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি মন্ত্রী ও সরকারি পর্যায়ে বৈঠকে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আসছে। এসসিও-কে ভারতের জন্য একটি দরকারী মঞ্চ হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ এটি এসসিও-র সদস্য চারটি মধ্য এশীয় দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ করে দেয়। শীর্ষ সম্মেলন পর্যায়ের মতবিনিময় অন্যান্য সদস্য দেশগুলির নেতা এবং সংগঠনের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক ও মতবিনিময়ের সুযোগও প্রদান করে।
পাকিস্তানের (S Jaishankar Pakistan Visit) সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে কোনও ভারতীয় নেতা পাকিস্তানে সরকারি সফর করেননি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০১৫ সালে লাহোরে নওয়াজ শরিফের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এর পর তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী এবং প্রয়াত নেত্রী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তান সফর করেন। তারপর থেকে সরকারের কোনও মন্ত্রী পাকিস্তান সফর করেননি।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোট হামলা এবং ২০১৯ সালের আগস্টে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে রয়েছে। ভারতের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বন্ধ না করলে দুই পক্ষের মধ্যে কোনও সংলাপের কথা বিবেচনা করা যাবে না। ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য পাকিস্তানের নীতি বা কৌশলে কোনও পরিবর্তনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন নমনীয়তার বার্তা পাঠাতে পারে বলে মনে করা হয়। এটি দেশীয় এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি খুব ভুল সংকেত হবে।