মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন (Saline) কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার একই বিতর্ক ঘিরে উত্তেজনা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। রবিবার রাতে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইনের (Saline) একটি বোতলে ছত্রাকের উপস্থিতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ফের একবার বিতর্কে প্রসূতিকে দেওয়া স্যালাইন (saline)।
চিকিৎসকদের দাবি, নতুন ব্যাচের স্যালাইনেও দেখা যাচ্ছে সাদা সাদা কণা। বোতল পরীক্ষা করলেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, স্যালাইনের ভেতর অস্বাভাবিক কিছু ভাসছে। মেদিনীপুর কাণ্ডের পর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর স্যালাইন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে নতুন সংস্থার স্যালাইনেও ছত্রাকের অভিযোগ উঠছে, যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে এই ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি। জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, এমন ঘটনার মাধ্যমে প্রসূতিদের জীবন ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন কাণ্ডে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন একাধিক প্রসূতি। এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর সরব হয়েছেন বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সদ্যোজাত সন্তানদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। ওই ঘটনার পর ৬ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, কারণ অভিযোগ ছিল সেদিন সিনিয়র চিকিৎসকেরা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়াও ১২ জন চিকিৎসককে সাপসেন্ড করা হয়েছে।
স্যালাইনের মতো অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সামগ্রীতে বারবার এই ধরনের অভিযোগ উঠতে থাকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতর কি এই অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে? নাকি প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ার ঘটনা আরও বাড়বে? রাজ্য জুড়ে এই ঘটনার প্রভাব এখন গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বার বার কেন এই ধরনের অভিযোগ উঠছে, সেই নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।